যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বেশিরভাগ মোবাইল ফোনেই ‘অপারেটর লক’ করা থাকে। ফলে কেবল একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যায় ওই ফোন। অনেক সময় না চাইলেও বাধ্য হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই থাকতে হয় ব্যবহারকারীকে। এসব ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখে অ্যাপল এবার নিয়ে এলো তাদের নতুন প্রযুক্তি ‘সফট সিম’।
অ্যাপলের সদ্য উন্মোচিত অ্যাইপ্যাড এয়ার-২ ট্যাবলেটের মাধ্যমে এ প্রযুক্তি বাজারে এনেছে অ্যাপল। অ্যাপলের এই ‘সফট সিম’-এর কারণে ব্যবহারকারীরা সফটওয়্যারের সেটিংসে পরিবর্তন এনে নিজেরাই নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করতে পারবেন।
নিজেদের সাইটে এই প্রযুক্তির বিষয়ে অ্যাপল জানিয়েছে, “অ্যাপল সিমের মাধ্যমে আইপ্যাড থেকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যের একাধিক মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে পারবে ভোক্তারা।” অ্যাপলের নতুন এই সেবার মাধ্যমে ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলোর কর্তৃত্ব কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান। সেই সাথে মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানের সেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের স্বাধীনতা বাড়বে বলেও মন্তব্য করেছে দ্য গার্ডিয়ান।
প্রাথমিক অবস্থায় আইপ্যাড এয়ার ২-এর এই ‘সফট সিম’ প্রযুক্তির কার্যকর প্রয়োগের সুযোগ পাবেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ক্রেতারা। আলাদা সিম কার্ড কেনার প্রয়োজন পরবে না তাদের। নিজের আইপ্যাড থেকে সরাসরি মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবায় সাইন আপ করতে পারবেন নতুন আইপ্যাডের ক্রেতারা। একই ‘সিম’ ব্যবহার করতে পারবেন একাধিক দেশে, একাধিক মোবাইল ফোন অপারেটরের সঙ্গে।
আপাতত হাতে গোনা কয়েকটি মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে অ্যাপলের সফটওয়্যার সিমকেন্দ্রিক সেবায়। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ইই(EE) এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্প্রিন্ট, টি-মোবাইল এবং এটিঅ্যান্ডটি’র বিভিন্ন প্যাকেজ ব্যবহার করা যাবে নতুন অ্যাপল সিমের মাধ্যমে।
আইপ্যাড এয়ার-২ দিয়ে প্রযুক্তি জগতে অভিষেক হল অ্যাপল সিমের। ২০১৫ সাল নাগাদ আইফোনেও এই প্রযুক্তি যোগ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান। আর যেহেতু প্লাস্টিকের সিমের মতো আলাদা স্লট প্রয়োজন হচ্ছে না, তাই অ্যাপল ওয়াচেও যোগ হতে পারে এই প্রযুক্তি।