ক.বি.ডেস্ক: ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, উপকৃত সকল জনগণ’ স্লোগানে আগামী ১২ ডিসেম্বর ২০২১ উদযাপিত হবে ‘‘জাতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১’’।জাতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১ এর উদ্বোধন করবেন অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হল অব ফেমে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আয়োজন।
জাতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১ এর প্রাক্কালে আজ বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ার বিসিসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
সাংবাদিক সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে দিবসটি উদযাপিত হবে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উতসবমুখরভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে ১২ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় ধানমন্ডিস্থ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদনের মাধ্যমে সুচনা করা হবে। সকাল ৮টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা হতে খামারবাড়ি মোড় পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টায় বিআইসিসির হল অব ফেমে ঢাকাতে প্রতিপাদ্য ভিত্তিক জাতীয় সেমিনার। বিকেল ৪টায় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পাঁচ ঘন্টাব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর স্ব স্ব সাফল্য ও অর্জন নির্ভর সেমিনার ও আলোচনা সভা আয়োজন করবে। ১২ বছরের সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা, দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণ বিষয়ক রচনা, উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃতি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হবে এবং সচেতনতামূলক নাটিকা পরিবেশন, শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সাধারণ ও কারিগরি ক্ষেত্রে আইসিটিতে অনন্য অবদানের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২১ বিতরণ করা হবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের ১৭ কোটি মানুষ পাচ্ছে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প ঘোষণা করেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব লাভের পর ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প হয়েছে দেশের সকল জনগণের। আইসিটি খাতে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ২০ লক্ষ। বর্তমানে আইসিটি খাতে রপ্তানি ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অনলাইন শ্রমশক্তিতে অবস্থান দ্বিতীয়। প্রায় সাড়ে ৬ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিং খাত থেকে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৭’শ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সঠিক অবকাঠামো গড়ে উঠার কারণে এসব সম্ভব হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এখন নিজের বাহন না থাকলেও রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজেই গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। প্রতারণা ও হয়রানির শিকার না হয়ে ১০ কোটিরও বেশি নাগরিক মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল ওয়ালেটের মাধ্যমে পরিবারের কাছে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি আর্থিক লেনদেন করতে সক্ষম হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে দুর্নীতি, অপচয় এবং হয়রানি দূর করার পাশাপাশি গ্রাম-শহর, নারী-পুরুষ ও নবীন-প্রবীনের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বর্তমানে প্রায় ১৩ কোটি। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে আর্থিক সেবায় মানুষের অন্তর্ভুক্তি রীতিমতো বিস্ময়কর। অনলাইন ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার, এটিএম কার্ড ব্যবহার শুধু ক্যাশলেস সোসাইটি গড়াসহ ই-গভর্মেন্ট প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।