ক.বি.ডেস্ক: ডিএনসিসি ‘‘ডিজিটাল হাট’’ ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের স্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করবে। এটি উভয়ের জন্য নিরাপদ। ক্রেতাদের সঠিক পশু দেয়া যেমন নিশ্চিত করা হবে তেমনি বিক্রেতার পাওনাও নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি স্লটারিং সেবার মাধ্যমে ঘরে ঘরে মাংস প্রক্রিয়াকরণ করে পাঠানো হবে। বর্তমানে ৫০০ স্লটারিং সেবা দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। চাহিদার ওপর ভিত্তি করে ১ হাজার গরু জবাই করে বাসায় ডেলিভারী দেয়া হবে। গতবার ৪৫টি মেম্বারসহ মোট ৬০ জন মার্চেন্ট ছিলো। এবার ই-ক্যাব ও বিডিএফএ মিলে ১০০ এর বেশী মার্চেন্ট রয়েছে। গতবছর দেশব্যাপী ২৭ হাজার গরু বিক্রি হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা ঢাকায় ৫০ হাজার এবং দেশব্যাপী বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে ১ লক্ষ পশু বিক্রি করা।
ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট এ কেনাটাকা করা যাবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। করোনার কারণে এবার অনলাইনে পশু বিক্রিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। গরু ডেলিভারী সেবার বিস্তৃতি হবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা যে যে এলাকায় ডেলিভারী দিতে পারবেন তার ওপর। আর কসাইসেবার বুকিং চালু থাকবে ১২ জুলাই পর্যন্ত এই সেবার পরিসীমা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিস্তারিত: https://digitalhaat.net/
কোরবানীর ব্যাপারে ধর্মীয় স্পর্শকাতরতা এবং ক্রেতার পছন্দকে গুরুত্ব দেয়া হবে। ডিজিটাল হাট-এ প্রদর্শিত পশুগুলো ডিজিটাল স্কেলে ওজন দেয়া এবং এখান থেকে ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে কোরবানির পশু ক্রয় করতে পারবেন। ডিজিটাল হাটে অ্যাস্ক্রো সেবা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানে সাময়িক অ্যাস্ক্রো সেবা বিক্রেতা গ্রহণ করবে কিনা এটা তার ইচ্ছের ওপর রাখা হয়েছে। ক্রেতারা চাইলে অ্যাস্ক্রোযুক্ত পশু ক্রয় করতে পারবে অথবা সরাসরি বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীনে এবারের ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ)। সহযোগিতায় রয়েছে বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি), এটুআই-একশপ।