ক.বি.ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সশরীরে কোরবানাীর পশুর হাট এড়ানোর লক্ষ্যে ডিজটাল হাটের আয়োজন করা হয়েছে। এর ফলে অনলাইনে নিরাপদে গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে, বিদ্যমান করোনা মহামারি চলাকালে এটি সকলের জন্য সহায়ক হবে এবং সময়োপযোগি উদ্যোগ। আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন অনুযায়ী ই-ক্যাব, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন, বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) এবং এটুআই-একশপ’র সহযোগিতায় www.digitalhaat.net মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে ডিএনসিসি ‘‘ডিজিটাল হাট-২০২১’’ বাস্তবায়ন করছে।
আজ রবিবার (৪জুলাই) জুম প্ল্যাটফর্মে ডিএনসিসি এবং ই-ক্যাব আয়োজিত ‘‘ডিজিটাল হাট-২০২১’’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরবানির গবাদি পশু (গরু) ক্রয় করে এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, মতস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ ছাড়াও সংযুক্ত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আহমেদ জামাল, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিপিসির কো-অর্ডিনেটর আব্দুর রহিম খান প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম করেনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় সকলকে অনলাইনে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন,ই-কমার্স একটি আধুনিক বাণিজ্যিক পদ্ধতি যা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের আস্থা অর্জন করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।করোনা মহামারীতে ই-কমার্সের গুরুত্ব বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।যারা ডিজিটাল লেনদেন সম্পর্কে খুব ভালো জানেন না তাদেরকে কিভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সম্পৃক্ত করা যায় সে উপায় বের করতে হবে।ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শুধু ক্রয়-বিক্রয় নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক নিরাপত্তাজনিত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অনেক বিষয়ে অবদান রাখছে।এই ব্যবস্থা শুধূ শহরে নয় গ্রাম-গঞ্জেও ছড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এক লাখ গবাদি পশু বিক্রয়ের লক্ষমাত্রা নিয়ে ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট-২০২১ এর যাত্রা হল। অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তাই এর সঙ্গে কয়েকটি সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং একশপ’র মাধ্যমে এসক্রো পদ্ধতিতে ক্রেতা ও বিক্রেতার আস্থা ও আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিম্চিত করা হবে। অনলাইনে যারা গবাদি পশু ক্রয় করবেন তাদেরকে কোনো হাসিল দিতে হবে না। ডিএনসিসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্লটারিং হাউজে বিজ্ঞানসম্মতভাবে এবার এক হাজার কোরবানির পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২৫টি ফ্রিজার ভ্যানের মাধ্যমে কোরবানি করা গবাদি পশুর মাংস যথাযথভাবে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। ‘মানবসেবা’ নামের একটি এনজিওকে চামড়া দিয়ে দেয়া হবে। শুধুমাত্র ডিএনসিসিতে নয় এর বাইরের যে কেউ অনলাইনে ডিএনসিসি ‘‘ডিজিটাল হাট-২০২১’’ থেকে গবাদি পশু ক্রয় করতে পারেবন তবে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগীরর মধ্যেই স্লটারিংয়ের ব্যবস্থা করা যাবে।