করোনার সংক্রমণ এড়াতে দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকা দোকানপাট ও শপিং মলগুলো শর্ত সাপেক্ষে গত ১০ এপ্রিল থেকে খুলে দেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে গত ৫ এপ্রিল বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে শপিং মলগুলো সম্পর্কে একটি নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেখানে বলা হয়, প্রত্যেকটি শপিং মলের নিজস্ব অ্যাপ থাকতে হবে, যার মাধ্যমে ক্রেতারা শপিং করতে আসার আগে নিবন্ধনের মাধ্যমে পাশ সংগ্রহ করবেন এবং প্রবেশ মুখেই তা প্রদর্শন করতে হবে। শপিং মলগুলোতে করোনার স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা সৃষ্টি করতে এই ধরনের ফিচার সম্বলিত অ্যাপ নির্মাণ করেছে দেশের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এমসিসি। পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই অ্যাপটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন বাংলাদেশের যেকোন শপিংমল কর্তৃপক্ষ।
কিভাবে কাজ করে এই অ্যাপ: এটি একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। এই সফটওয়ার ব্যবহার করতে কোন ধরনের কারিগরী জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। ক্রেতারা একটি নির্দিষ্ট সাইটে ঢুকে শপিং পাশের আবেদন করবেন। শপিং এর জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ও সময় উল্লেখ করবেন। মল কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি আবেদনকে যাচাই বাছাই করে অনুমোদন প্রদান করবেন। এটি ম্যানুয়াল বা স্বয়ংক্রিয় দুই পদ্ধতেই করা সম্ভব। অনুমতি প্রদানের সাথে সাথে ক্রেতার মোবাইল নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশান কোড ও একটি কিউআর কোড চলে যাবে। যেটা প্রবেশ পথের মুখে যাচাই করা সম্ভব হবে।
মূলত অর্থনেতিক প্রয়োজনে শপিংমলগুলো খুলে দিলেও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ক্রেতা সাধারণের সমাগম তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু যদি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায় এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে ক্রেতাদেরকে শপিং এর সুযোগ প্রদান করা যায়, তাহলে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তাই এই অ্যাপের প্রধান ফিচার হচ্ছে, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়ের পরিস্থিতি এড়াতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রেতাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনুমতি প্রদান করা।
কিভাবে এই সেবাটি পাওয়া যাবে: যে কেউ https://mcc.com.bd/shoppingpass/ এ প্রবেশ করে এই অ্যাপ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন ও ডেমো দেখার সুযোগ পাবেন। তবে আগ্রহী শপিংমল কর্তৃপক্ষ এই সাইটের নিচের লিঙ্ক থেকে নিবন্ধন করেন, তাহলে এমসিসির টেকনিক্যাল টিমের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে এবং সিস্টেমে ইন্সটল করাসহ অন্যান্য কারিগরী সেবা দেয়া হবে। যদি কোন ধরনের কাস্টমাইজ করার প্রয়োজন হয়, সেটাও আলোচনা সাপেক্ষে করা হবে।
তবে শুধু শপিংমল নয়, যে কোন প্রতিষ্ঠান, যেখানে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে থাকে, তাঁরা প্রত্যেকেই এই ধরনের সলিউশন ব্যবহার করতে পারবেন। এমসিসি করোনা মহামারীর শুরু থেকেই এটি মোকাবেলায় নানা ধরনের সলিউশন নিয়ে কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই সফটওয়ার নির্মাণ ও বিনামূল্যে ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।