ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) সদস্যদের বিসিএস স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় প্রযুক্তি ব্যবসার ভবিষ্যত ধরণ ও পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে ‘‘ফিউচার ট্রেন্ড অব আইসিটি বিজনেস অ্যান্ড প্ল্যানিং’’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। গত শনিবার (১২ জুন) অনলাইনে এই প্রশিক্ষন কর্মশালা শুরু হয়। আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর। প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক-কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আব্দুর রহিম খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাসিক সি নিউজের ম্যাগাজিনের প্রকাশক এবং সম্পাদক রাশেদ কামাল হিজল। সঞ্চালনা করেন বিসিএস যুগ্ম-মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন।
আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাটা সফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান, দ্য কমপিউটার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার আতিক-ই-রব্বানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ এস এম আব্দুল ফাত্তাহ, স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা, ইউসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরওয়ার মাহমুদ খান, মাসিক সি নিউজের ম্যাগাজিনের প্রকাশক এবং সম্পাদক রাশেদ কামাল হিজল, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, অ্যামাজন ওয়েব সিরিজের সলিউশন আর্কিটেকচার লিডার মোহাম্মদ মাহাদি-উজ-জামান এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সহকারী সাধারণ পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম রিজভি।
এন এম জিয়াউল আলম বলেন, আইসিটি ব্যবসার মূলমন্ত্রই হলো দূরদর্শী হওয়া। বর্তমান চিন্তা করে প্রযুক্তি ব্যবসা শুরু করলে সেই ব্যবসায় টিকে থাকা কঠিন হবে। দূরদর্শীতার সবচেয়ে উতকৃষ্ট উদাহরণ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের ভিষন ২০২১ এবং ২০৪১ এর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তার মানে হলো তিনি সেই সময়ে ২০৪১ এ বাংলাদেশের রুপ সম্পর্কে ধারণা করতে পেরেছিলেন।
ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল করোনাকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। ভবিষ্যত প্রযুক্তি ব্যবহারের আগে আমরা বর্তমান টেকনোলজির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছি। এখন আমাদের মুঠোফোনেই সব কাজ করা সম্ভব হয়েছে। ৮টি হাই-টেক পার্ক বিনিয়োগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছে। ভবিষ্যত প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উতপাদন এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য হাই-টেক পার্ক অনন্য স্থান।
মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায় ভবিষ্যত পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আইসিটি পণ্য প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। বদলে যাচ্ছে গ্রাহকের চাহিদা। ডেস্কটপের জায়গা দখল করে নিয়েছে ল্যাপটপ এবং মুঠোফোন। এভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, ৫জি টেকনোলজি, আইওটি, ব্লকচেইন, ভয়েস রিকগনাইজারসহ নানা প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিভাইস সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকলে ব্যবসায়ীরা মূলত ভবিষ্যতে লাভবান হতে পারবে না।