ক.বি.ডেস্ক: অবশেষে ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়। এই ট্যারিফে দেশের যেকোনো প্রান্তে ৫ এমবিপিএসের মূল্য হবে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। ১০ এমবিপিএসের মূল্য হবে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএসের মূল্য হবে ১২০০ টাকা। দেশে ৯৮ লাখ ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী রয়েছেন। যারা দেশের ৫৮ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে সারাদেশে অভিন্ন দর নির্ধারণ করে দিল সরকার।
আজ রোববার (৬ জুন) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, কমিশনার (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, আইএসপিএবি’র সভাপতি আমিনুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, আইআইজি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জুনায়েদ, ফাইবার অ্যাট হোমের এমডি মঈনুল হক সিদ্দিকী প্রমুখ।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে এটি অন্যতম একটি মাইলফলক। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকাসহ সবাইকে একই মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিতে ব্রডব্যান্ডকে ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফের আওতায় আনা হচ্ছে। এখন থেকে সারাদেশে এক রেটে একই পরিমাণ ইন্টারনেট পাওয়া যাবে।
বিটিআরসি তথ্যমতে, সেবাদাতারা চাইলে এই মূল্যের চেয়ে কম মূল্য নিতে পারবে। তবে কোনোভাবেই নেওয়া যাবে না বাড়তি অর্থ। এতে এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এই রেটে শুধুমাত্র ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বিক্রি হবে। বর্তমানে দেশে ২৪০৯ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহৃত হচ্ছে। যার মধ্যে ১০১৭ জিবিপিএস ব্যবহৃত হচ্ছে সাড়ে ১০ কোটি গ্রাহক। আর ১৩৯৮ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করছে ৯৮ লাখ গ্রাহক। যেখানে মূল্য নিয়ে ছিল অরাজকতা।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুসারে প্রতি ১০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পেনিট্রেশনের মাধ্যমে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি ঘটে। এই এক দেশ এক রেট কার্যক্রমে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবহার দ্রুত বাড়বে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।