করোনা মহামারির এ সময়ে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় সরাসরি রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন এতে তাদের সেবা থেকে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। আবার অনেক রোগী করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় চেম্বারে এসে ডাক্তার দেখাতে পারছেন না। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে হাসপাতাল, রোগী ও বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের সেতুবন্ধনে যাত্রা শুরু করলো টেলিমেডিসিন অ্যাপ ‘স্মার্ট হসপিটাল’।
হাসপাতাল বা ক্লিনিকসমুহ https://bit.ly/Hospital-App লিঙ্ক থেকে Smart Hospital অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। প্লে স্টোর থেকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কেউ এই অ্যাপ ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই চালু করতে পারবেন নিজস্ব টেলিমেডিসিন সেবা। এ অ্যাপ ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা ক্লিনিক খুব সহজেই আউটডোর, ইনডোর ও ফলোআপ কনসালটেশন দান করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা হাসপাতালে বা ক্লিনিকে উপস্থিত না থেকেও ভিডিও কনসালটেশনের মাধ্যমে রোগীর স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন।
হ্যালো ডক্টর ডট এশিয়ার প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা ও বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনায় পৃথিবী এক নতুন সময় পার করছে যার জন্য আমাদের কোন প্রস্তুতি ছিল না। তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শহরের বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল/ক্লিনিকসমুহ কোন প্রকার বিনিয়োগ ছাড়াই এ অ্যাপ ব্যবহার করে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান শুরু করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ৫০টি বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং ৫০০টি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল/ক্লিনিক নিয়ে আমরা একটি টেলিমেডিসিন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চাই। পরবর্তীতে বিদেশের বিশেষায়িত হাসপাতাল সমুহে টেলিমেডিসিন নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে, যার মাধ্যমে একটি কার্যকর টেলিমেডিসিন রেফারেল নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে।
হ্যালো ডক্টর ডট এশিয়ার পরিচালন কর্মকর্তা মো. ফখরুল হাসান বলেন, গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা টেলিমেডিসিন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি এবং কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৯ সালে ‘হ্যালো ডক্টর ডট এশিয়া’ ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। ইতিমধ্যেই আমরা চিকিত্সকদের জন্য ‘হ্যালো ডক্টর প্রো’, রোগীদের জন্য ‘হ্যালো ডক্টর এশিয়া’ অ্যাপ চালু করেছি। বর্তমানে ২৫০ জনের বেশি চিকিত্সক টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করছেন।