সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও করোনাভাইরাসের থাবায় এক সঙ্কটসময় পার করছে। এরই মধ্যে জাতির সামনে পবিত্র ঈদুল আযহা হাজির হয়েছে কোরবানীর মহিমা নিয়ে। এবারের কোরবানীর পশুর হাট নিয়ে সরকারের রয়েছে নানা নির্দেশনা, এ ছাড়া করোনার ভয়তো রয়েছেই জনগণের মনে। এই অবস্থায় পশুর হাটে যাবার ঝুঁকি ও কোরবানীর পশুর মাংস বিতরণের এক দারুণ নিরাপদ উদ্যোগ নিয়েছে হালাল-বাজার ডট কম।
নিরাপত্তা ও ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে হালাল-বাজার টিম এ বছর আগ্রহীদের পক্ষ হয়ে কোরবানীর সম্পূর্ণ দায়িত্ত্ব নিতে চালু করেছে অনলাইন কোরবানীর সুবিধা। পশুর হাটের ভিড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি, পশু কোরবানীর কসাই খোঁজা, পশু কোরবানী করা, মাংস প্রস্তুত এবং গরিবদের মধ্যে বিতরণের পুরো দায়িত্ব পালন করবে হালাল বাজারের কর্মীরা। স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা ও ধর্মীয় আচার পালন সবই হবে সঠিক উপায়ে।
গুগলের সাবেক কর্মী ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ড. খান মো. আনোয়ারুস সালামের সরাসরি তত্ত্বাবধানে হালাল-বাজার ডট কমের অনলাইন কোরবানী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।এ বিষয়ে তিনি বলেন, সকলের জন্য যথাযথভাবে কোরবানী পালন এবং এই কোরোনাকালে বেশি সংখ্যক মানুষকে সাহায্য করার লক্ষ্যে হালাল-বাজার তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
স্বাস্থ্যকর গরু ও ছাগল কেনা থেকে শুরু করে পরবর্তী সব ধাপ সম্পন্ন করা হবে হালাল-বাজারের প্রশিক্ষিত কসাই ও বিতরণ কর্মীদের তত্ত্বাবধানে ধর্মীয় রীতি মেনে। প্রদত্ত নামে কোরবানীর পশুর ছবি, কোরবানীর ছবি-ভিডিও প্রদান করা হবে, যদি কেউ চান। ঈদুল আযহার দিনে ওই কোরবানীর মাংস যথাযথ সামাজিক দূরত্ব অনুসরন করে বাংলাদেশের দরিদ্র, অভাবী এবং অনাথ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
প্রাথমিকভাবে এই অনলাইন কোরবানী কার্যক্রমের বিপরীতে গরুর ভাগের জন্য নয় হাজার টাকা এবং একটি ছাগলের বিপরীতে দশ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। এই পরিমাণ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে হালাল-বাজারে সম্পূর্ণ অলাভজনক ও সেচ্ছাসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে কোরবানীর কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।
কোরবানীর অর্ডার করতে ফোন: ০১৫৫২৩৪৬১২৬। বিস্তারিত জানতে:https://www.halal-bazaar.com