ক.বি.ডেস্ক: চলতি ইলিশের মৌসুমকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর নদী অঞ্চলের মতস্যজীবীদের আহরিত ইলিশ মাছ অনলাইনের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে ‘‘লাইভ ফ্রম ইলিশের বাড়ি’’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। ইলিশের জেলা চাঁদপুরের পণ্য ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে লাইভ ফ্রম ইলিশের বাড়ি ক্যাম্পেইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইলিশকে সকলের কাছে তুলে ধরতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের স্থাপিত ইলিশ মিউজিয়াম আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে ভূমিকা পালন করবে। দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত এ মিউজিয়াম পরিদর্শনের মাধ্যমে তারা জেলা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
লাইভ ফ্রম ইলিশের বাড়ি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে চাঁদপুর জেলার প্রায় ১০০০ মতস্যজীবীদের কাছ থেকে ইলিশ সংগ্রহ করে ঢাকার ক্রেতাগণের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। ঢাকার ক্রেতারা একশপের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে ইলিশ মাছ কিনতে পারবেন। একশপের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ই-কমার্স সাইট চালডাল ডট কম, পারমিডা, খাস ফুডেও পাওয়া যাবে ইলিশ।
এটু্আই’র একশপ এবং চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল শনিবার (২৮ আগস্ট) অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম,। বিশেষ অতিথি ছিলেন এটুআইর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান এবং যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
এন এম জিয়াউল আলম বলেন, দেশের প্রত্যেকটি জেলারই নিজস্ব সাংস্কৃতিক ইতিহাস-ঐতিহ্য রয়েছে। বিভিন্ন জেলার ব্র্যান্ডিংয়ের লক্ষ্যে এরই মধ্যে প্রত্যেক জেলা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে ব্র্যান্ডিং বই প্রকাশ করেছে। ইলিশ শুধু চাঁদপুরের সম্পদ নয় সারাদেশের সম্পদ এবং সারাবিশ্বের সম্পদ। ইলিশের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ইলিশ মাছের তুলনা শুধু ইলিশই। এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে কেনা মাছ কোথাকার তা যাচাই করার সুযোগ দিচ্ছে। ফলে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাব ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, ইউএনডিপির ন্যাশনাল কনসালটেন্ট সারাহ জিতা, উইম্যান ইন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের নাসিমা আক্তার নিশা, ই-কুরিয়ারের সিইও বিপ্লব ঘোষ রাহুল, আইসিটি বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি মো. শামসুজ্জামান, এটুআইর হেড অব ই-কমার্স রেজোয়ানুল হক জামি এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।