ক.বি.ডেস্ক: ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের সফটওয়্যার খাতের বাণিজ্যিক সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়ার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর ২০২২-২০২৩ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক কার্যনির্বাহী পরিষদের (ইসি) নির্বাচন। বেসিসের ১৪তম ইসি নির্বাচনে সাধারণ ক্যাটাগরিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ডিক্যাস্টালিয়া লিমিটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক সাবিলা ইনুন।
সাধারণ ক্যাটাগরিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিলা ইনুন ২০০৫ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন। সেলবাজার, গ্রামীণফোন, ব্রাক, বিশ্বব্যাংক, অংকুর, ডিনেট, ইমাজিন গ্রাফিক্সের মতো বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। সরকারের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি অ্যানালিস্ট, সেক্টর এক্সপার্ট, ট্রেইনার হিসেবে। এটুআই, আইসিটি বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোতে আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার ইমপ্লিমেন্টেশন টিমলিড দিয়েছেন ক্যারিয়ারের শুরুতেই। এটুআইর ইনোভেশন টিমের সঙ্গে কাজ করেছেন ইনোভেশন আইডিয়া প্রেজেন্টেশন টুলকিট ডিজাইনের।
২০০৯ সালে তিন জন বন্ধু মিলে প্রতিষ্ঠা করেন সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ডিক্যাস্টালিয়া লিমিটেড। এ বছরই প্রতিষ্ঠানটি একযুগ পার করেছে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই চেষ্টা করেছেন কাজের মান ধরে রাখতে, ক্লায়েন্টদের চাহিদা এবং প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিতে এবং একটি ব্যালেন্সড টিম গড়ে তুলতে।
সাবিলা ইনুন তরুনদেরকে নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। ৭/৮ বছর আগে বাংলাদেশে যখন স্টার্টাপ কালচার শুরু হলো, তখন থেকেই সক্রিয়ভাবে সেখানে অংশগ্রহণ করেন। সমস্যার মূল খুঁজে বের করতে পার্টিসিপ্যান্ট হিসাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। মেন্টর হিসাবে স্টুডেন্টদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি দেশে এবং দেশের বাইরের স্টার্টআপ কমিউনিটিতে মেন্টর, সেক্টর এক্সপার্ট, অর্গানাইজার, বিচারক হিসাবে সক্রিয় ছিলেন।
তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে কাজ করতে করতেই বেসিসের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। বেসিস সফটএক্সপো, এপিকটা অ্যাওয়ার্ড, আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ডসহ কমবেশি অনেক অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে অবদান রাখেন তিনি। বেসিস সফটএক্সপোর সিগ্নেচার ইভেন্ট হলো টেকনিক্যাল সেশন। সর্বশেষ সফটএক্সপোতে এই সেশনের কনভেনরের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিলা ইনুন এর নির্বাচনী ইশতেহার: স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সকল সদস্যদের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের কন্ঠস্বর হয়ে বোর্ডে (ইসি) সক্রিয় থাকা: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীর অন্তর্ভুক্তি তরান্বিতকরণ এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ; তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেয়া এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ; আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্টার্টআপদের অংশগ্রহণের পথ সুগম করা; মানবসম্পদ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে বাস্তবসম্মত এবং সময়োপযোগি পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এখন পর্যন্ত যেসব কর্মকান্ড গৃহীত হয়েছে (যেমন: মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েল)সেগুলোর বাস্তবায়ন করা; টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারি কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা: বেসিস এবং সদস্যদের নিয়ে একটি কার্যকর যোগাযোগ এর পরিবেশ তৈরি ও বাস্তবায়ন।