ক.বি.ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মোবাইল অপারেটর থেকে গ্রাহকদের কাছে সব ধরনের এসএমএস বাংলায় পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গতকাল রবিবার বিটিআরসি’র সভাকক্ষে গ্রাহকদের সব ধরণের এসএমএস বাংলায় পাঠানোর এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও রিয়াজ রশিদ এবং বাংলা লিংকের ভারপাপ্ত সিইও তৈমুর রহমান। মূল পবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ। সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
সবধরনের গ্রাহকের কাছে মোবাইল অপারেটরের এসএমএস ও নোটিফিকেশন সহজবোধ্য করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের সকল মোবাইল অপারেটর এখন থেকে ইংরেজির পরিবর্তে গ্রাহকদের কাছে মাতৃভাষা বাংলায় এসএমএস এবং নোটিফিকেশন পাঠানো হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিটিআরসির উদ্যোগে এই কার্যক্রম চালু করা হয়।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলায় এসএমএস বা নোটিফিকেশন রূপান্তরের পেছনের কাজগুলো চ্যালেঞ্জিং ছিল; তা সত্ত্বেও সেটি করা হয়েছে। এই ঘটনাটি মাতৃভাষা, মা-মাটি ও মাতৃভূমির জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রযুক্তিগত দিক থেকে কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষা পিছিয়ে নেই। এমন কোন ডিভাইস বা যন্ত্র নেই যেখানে বাংলা লেখা যাবে না। ১৯৮৭ সালে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম হওয়ার সময়ও বাংলার প্রকৃত রূপ ছিল না; অনেক বর্ণমালা বাদ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি নিজে সেই বর্ণগুলো যুক্ত করাই। এরপর ইন্টারনেটে ব্যবহার করার যেসব সংকট ছিলো সেসবও দূর করা হয়েছে। বাংলার এনকোডিং ও কীবোর্ডও এখন প্রমিত। তাই প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা ব্যবহার করা কঠিন এই অজুহাত দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, একুশ আমাদের অহংকার। বাংলা ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই বাঙালির জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধু কেবল ভাষা আন্দোলন করে দেশটাকে গড়ে তুলেননি। তিনি বলেছিলেন আমরা স্বাধীনতা পেলে আমাদের দাপ্তারিক ভাষা হবে বাংলা বঙ্গবন্ধু তাই করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু মুনির কীবোর্ডকে পূর্ব জার্মানীর অপটিমা কোম্পানির সহায়তায় অপটিমা মুনির টাইপ রাইটার যন্ত্রটি তৈরির ব্যবস্থা করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি অফিস আদালতে বাংলা চালু করেছিলেন।