Friday, November 22, 2024
More

    সর্বশেষ

    ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০’ এ সেরা স্টার্টআপ পাবে ১ লাখ মার্কিন ডলার

    ‘‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’’ এর জন্মশত বার্ষিকী দেশব্যাপি উদযাপিত হচ্ছে। মুজিববর্ষ আয়োজনে আইসিটি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের অধীনে আইডিয়া প্রকল্পের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সর্ববৃহত আয়োজন ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০’ (বিগ)। প্রাথমিকভাবে আজ (২৫ নভেম্বর) থেকে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০ এ আইসিটিভিত্তিক আগ্রহী স্টার্টআপরা www.big.gov.bd এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধণ করতে পারবে।

    জাতীয় পর্যায়ে ২৫ ডিসেম্বর এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আগামী ২৫ জানুয়ারি ২০২১ এর মধ্যে যে কোন আইসিটিভিত্তিক উদ্যোক্তা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে পারবে। দেশের ৮টি বিভাগেই অনলাইনে এবং করোণা পরিস্থিতির কারণে যথাযথ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফলাইনে অ্যাকটিভেশন ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হবে।

    বিগ আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তাদের নতুন উদ্ভাবনী ধারণাকে উতসাহিত করে দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি ফ্ল্যাগশীপ প্রোগ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ২০২০-২১ সালে ৩টি আয়োজন (বিশ্ববিদ্যালয় ও স্টেকহোল্ডার অ্যাক্টিভেশন ক্যাম্পেইন, টিভি রিয়েলিটি শো এবং আন্তর্জাতিক রোড শো) সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    বিগ এর আন্তর্জাতিক রোড শোর মাধ্যমে প্রাপ্ত স্টার্টআপদের মধ্য থেকে একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিচারক প্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। আমেরিকা, কম্বোডিয়া, ভারত, দক্ষিন কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চায়না, হংকং, জাপান, ইটালিসহ বিভিন্ন দেশকে এই আন্তর্জাতিক রোড শোর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ চলছে। এ আয়োজনগুলো থেকে নির্বাচিত সেরা ৩৬টি স্টার্টআপকে ১০ লক্ষ টাকা করে ‘গ্র্র্যান্ট’ এর অর্থ প্রদান করার পাশাপাশি বিগ ফাইনাল রাউন্ডের জন্য মনোনয়ন দেয়া হবে। পরবর্তীতে, এই চূড়ান্ত পর্ব থেকে দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত সিলেকশন প্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে মুজিববর্ষের বৃহত আয়োজনের চূড়ান্ত ফলাফল। বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০ (বিগ)  এর পুরস্কার হিসেবে সেরা একটি স্টার্টআপকে দেয়া হবে বিশেষ সম্মাননা এবং গ্র্যান্ট হিসেবে ১ লাখ মার্কিন ডলার।

    আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০ (বিগ)’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঢাকার আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০ এর উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক।

    বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০ (বিগ)  এর পুরস্কার হিসেবে সেরা একটি স্টার্টআপকে দেয়া হবে বিশেষ সম্মাননা এবং গ্র্যান্ট হিসেবে ১ লাখ মার্কিন ডলার

    জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর দূরদর্শীতা দিয়ে সময়ের আগে ভেবেছেন, সমস্যা সমাধানসহ অধিকার আদায়ের জন্য বড় বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন ও অনেক বড় বড় উদ্যোগও গ্রহণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট এই আইডিয়াটি নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছিল মুলত মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য। যদি আমাদের তরুণদেরকে উতসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করতে চাই তবে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ, রাজনৈতিক দর্শন এবং তাঁর যেই সংগ্রামের ইতিহাস, সেটা যদি প্রকৃতপক্ষে আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারি তাহলে কিন্তু তারা কখনোই জীবন সংগ্রামে পরাজিত হবে না। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আমাদের এই উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবকদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্যই আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।

    এন এম জিয়াউল আলম বলেন, আমরা সকলেই বঙ্গবন্ধুর বিশালতার কথা জানি। এই বিগ এর মাধ্যমে আমরা বড় বড় কাজ করতে পারব এটা আমাদের প্রত্যাশা। তরুণরা চাইলেই তাদের উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে বড় প্রতিষ্ঠান গড়তে পারেন এবং হতে পারেন বিগ।

    পার্থ প্রতিম দেব স্টার্টআপের উদ্ভাবিত আইসিটি নির্ভর উদ্ভাবনী পণ্যের বিশ্ববাজারে পরিচিতির লক্ষ্যে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে মেইড ইন বাংলাদেশ পণ্যের প্রচার-প্রসারের কৌশল হিসেবে উন্নত বিশ্বের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সঙ্গে বাংলাদেশের স্টার্টআপদেরকে পরিচিত করে দেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। বাংলাদেশের স্টার্টআপ সংস্কৃতি বিকাশের উদ্দেশ্যে প্রকল্প হতে বিগ আয়োজন একটি বিশাল ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশাব্যাক্ত করেন।

    নির্বাচিত সেরা ৩৬টি স্টার্টআপকে ১০ লক্ষ টাকা করে ‘গ্র্র্যান্ট’ এর অর্থ প্রদান করার পাশাপাশি বিগ ফাইনাল রাউন্ডের জন্য মনোনয়ন দেয়া হবে

    সৈয়দ মজিবুল হক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং নানা স্মৃতি তুলে ধরেন। এ ছাড়াও তিনি আইডিয়া প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম ও সফলতা সম্পর্কে বর্ননা করেন। দেশীয় উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাগণকে নিজেদের মেধা ও সৃজনশীলতার সমন্বয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাস্তব জীবনের নানা সমস্যা সমাধানে উতসাহিত করতে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০  আয়োজনের গুরুত্ব তিনি সকলের মাঝে তুলে ধরেন।

    বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উদ্ভাবক, প্রফেশনাল, স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন দেশের হাই-কমিশন ও দূতাবাসসমুহ, স্টার্টআপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশি-বিদেশী কমিউনিটি ও ক্লাব, ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনসহ শতাধিক প্রতিনিধিরা এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে আইসিটি ক্ষেত্রে নতুনভাবে উপস্থাপিত হবে।

    বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০ এর পার্টনার আইসিটি বিভাগ, আইসিটি অধিদপ্তর, বিসিসি, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, সিসিএ, এটুআই, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।সহযোগি পার্টনার বেসিস, বিসিএস, আইএসপিএবি, বাক্য, বিআইজেএফ ও ইক্যাব।

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.