দেশের মুঠোফোন অপারেটর রবি চালু করেছে করোনা ঝুঁকির ডিজিটাল ম্যাপ। এই ডিজিটাল ম্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকেরা জানতে পারবেন কোন কোন এলাকায় করোনা ঝুঁকির মধ্যে আছে। জানতে পারবেন কোন কোন এলাকায় যাওয়া ঝুঁকির। উপাত্ত সংগ্রহের পর এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি তৈরি হয়ে যাবে। করোনা ঝুঁকির একটি ডিজিটাল মানচিত্রের মাধ্যমে সরকারও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সবার আগে এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবি একটি শক্তিশালী ডাটা অ্যানালিটিকস সিস্টেম গঠন করেছে, যা জনস্বাস্থ্যের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর বলে দাবি তাদের। রবি বলছে, এসব তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে সরকার প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশ প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে। সিঙ্গাপুর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে করোনা ঝুঁকির স্থান চিহ্নিত করে দিচ্ছে, ডেটা অ্যানালিটিকসের মাধ্যমে কোথায় সংক্রমিত হচ্ছে, যা নির্দিষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং ব্লু টুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে করোনা সংক্রমিতদের চিহ্নিত করছে। হংকং ট্র্যাকিং রিস্টব্যান্ডের মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করছে। প্রযুক্তির সাহায্যে বাংলাদেশেও কোন এলাকায় সন্দেহজনক করোনা-আক্রান্ত বেশি, তার একটা মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। এটার সঠিকতা ৯৫ শতাংশের মতো। সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পরও ঝুঁকি থেকে যায়। তখন সরকার এলাকাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
করোনা নিয়ে একটি ডিজিটাল ম্যাপ তৈরির জন্য সরকার এ উদ্যোগ নেয়। এর সঙ্গে এটুআই প্রকল্প, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মোবাইল অপারেটরদের সংযুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি এক ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে যোগ দেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজর অনীর চৌধুরী, রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহতাব উদ্দিন আহমেদ ও চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।