ক.বি.ডেস্ক: ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব)২০২২-২০২৪ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদ (ইসি) নির্বাচনে ইতিবাচক পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা করা ‘‘দ্যা চেঞ্জ মেকার্স’’ প্যানেল তাদের খসড়া নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেছে। সম্প্রতি (৩১ মে) ই-ক্যাব সদস্যদের উপস্থিতিতে রাজধানীর স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের জন্য এই খসড়া নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করা হয়। এবারের নির্বাচনে ৭৯৫ জন ভোটার হয়েছেন। আগামী ১৮ জুন ই-ক্যাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দ্যা চেঞ্জ মেকার্স: ২০২২-২৪ মেয়াদে ই-ক্যাব এর ইসি নির্বাচনে ৯ সদস্যের প্যানেলে রয়েছেন সিপ্রোকো কমপিউটারস লিমিটেডের শাফকাত হায়দার, বাংলামেডসের ওয়াসিম আলিম, ক্লিনফোর্সের মো. তাসদীখ হাবীব, আরটিএস এন্টারপ্রাইজের জিসান কিংশুক হক, কিনল ডট কমের মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, নিজল ক্রিয়েটিভের আবু সুফিয়ান নিলোভ, ই-কুরিয়ারের বিপ্লব ঘোষ রাহুল, সেবা ডট এক্সওয়াইজেডের ইলমুল হক সজীব এবং হুর নুসরাতের নুসরাত আক্তার লোপা।
নির্বাচনী ইশতেহার: সদস্য, নীতিনির্ধারক এবং গণমাধ্যমে ই-ক্যাবকে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে খসড়া ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহারে সদস্যদেরকে সংগঠনের মূল শক্তি বিবেচনায় নিয়ে ই-ক্যাব সদস্যদেরকে সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখার অঙ্গীকার করা হয়।
ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য সে অর্থে ব্যবহার উপযোগী কোন কার্যালয় নাই। ই-ক্যাব সেক্রেটারিয়েট থেকে সদস্যদের প্রয়োজনীয় সেবা বেশিরভাগ সময়ই প্রদান করা সম্ভব হয় না। ই-ক্যাবের বিভিন্ন কার্যক্রমে সদস্যদের অংশগ্রহন প্রায় নেই বললেই চলে। অনেক প্রশ্নবিদ্ধ কোম্পানী থেকে বিভিন্ন কার্যক্রমে স্পন্সরশীপ নেয়ার কারনে ই-কমার্স খাতের প্রতি মানুষের আস্থা প্রায় তলানীতে চলে এসেছে। ট্যাক্স ভ্যাট ইস্যুতে ই-ক্যাব থেকে খুব একটা সহযোগিতা সদস্যরা পায়না বললেই চলে। দ্য চেঞ্জ মেকার্স নির্বাচিত হয়ে আসতে পারলে এই সমস্যাগুলোর সবগুলোই সমাধান করার কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
দ্য চেঞ্জ মেকার্স প্যানেল নির্বাচিত হয়ে আসলে প্রথমেই কনফারেন্স রুম, লাউঞ্জ সুবিধাসহ একটি ভালো অফিস সদস্যদের উপহার দেয়া হবে। সচিবালয়কে শক্তিশালী করতে ২০২৩ সালের মধ্যে একজন নির্বাহী পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সদস্যদের আর্থিক সংস্থানের জন্য কমপক্ষে ৬টি ব্যাংক থেকে জামানতবিহীন ঋণ বা বিনিয়োগের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ইক্যুইটি ফাইন্যান্সিং নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করা।
আয়কর ও ট্যাক্স বিষয়ে সাপোর্ট দিতে সুনির্দিষ্ট একটি রিসোর্স সেন্টার স্থাপন এবং প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে সদস্যদের জন্য ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন ঘোষনা দেয়া হয়, যেখানে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সদস্যদের জন্য মেন্টরিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। বছর শেষে একটি ই-কমার্স এক্সপো করার পরিকল্পনা। সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার ১ শতাংশ ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য আদায় করে নেয়ার।
আগামীতে পর পর দুইবার কেউ নির্বাচিত হলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন সংগঠন বিধিতে এমন পরিবর্তন আনারও ঘোষণা দেয়া হয়।
দেশে ইকমার্স খাত আগের চেয়ে উন্নত হলেও এখানে স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ও উদ্যোক্তাবান্ধব নেতৃত্ব প্রয়োজন। এই খাতে সাধারণ মানুষের আস্থাকে আরও বাড়াতে এবং ই-ক্যাবকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে দ্য চেঞ্জ মেকার্স সব সময় সচেষ্ট থাকবে।