ক.বি.ডেস্ক: ২০২২-২৪ মেয়াদে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) কার্যনির্বাহী পরিষদ (ইসি) নির্বাচনে পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে ৯ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করলো ‘‘দ্যা চেঞ্জ মেকার্স’’। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানীর একটি ক্লাবে প্যানেল ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচনে ৭৯৫ জন ভোটার হয়েছেন। আগামী ১৮ জুন ই-ক্যাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দেশে ইকমার্স খাত আগের চেয়ে উন্নত হলেও এখানে স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ও উদ্যোক্তাবান্ধব নেতৃত্ব প্রয়োজন। এই খাতে সাধারণ মানুষের আস্থাকে আরও বাড়াতে এবং ই-ক্যাবকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে দ্যা চেঞ্জ মেকার্স সব সময় সচেষ্ট থাকবে।
দ্যা চেঞ্জ মেকার্স: এবারের নির্বাচনে প্যানেলের সদস্যরা হলেন- সিপ্রোকো কমপিউটারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফকাত হায়দার, বাংলামেডসের পরিচালক ওয়াসিম আলিম, ক্লিনফোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তাসদীখ হাবীব, আরটিএস এন্টারপ্রাইজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিসান কিংশুক হক, কিনলের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, নিজল ক্রিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান নিলোভ, ই-কুরিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা বিপ্লব ঘোষ রাহুল, সেবা ডট এক্সওয়াইজেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইলমুল হক সজীব এবং হুর নুসরাতের স্বত্বাধিকারী নুসরাত আক্তার।
দ্যা চেঞ্জ মেকার্স প্যানেল এবারের নির্বাচনে ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। প্যানেলটির পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, নির্বাচিত হলে ই-ক্যাবে নতুন সদস্য করার ক্ষেত্রে সাবধনতা অবলম্বন করা হবে। প্রতিষ্ঠানের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে, তারপর সদস্যপদ প্রদান করা হবে। কোয়ান্টিটিতে ফোকাস না হয়ে ই-ক্যাবকে কোয়ালিটি ফোকাসড সংগঠন হবে। সদস্যদের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া হবে। নিজস্ব অফিস নিয়ে সেখানে সদস্যদের সর্বাত্মক অংশগ্রহন করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
ই-ক্যাবকে সদস্যদের প্রাণের সংগঠন এবং ভোক্তাদের জন্যে আস্থার সংগঠন হিসেবে পরিচালনা ও প্রতিষ্ঠিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হন। শুধু উদ্যোক্তা কেন্দ্রিক নয়, যেন ভোক্তা কেন্দ্রিকও হয়, সেটাও প্রত্যাশা থাকবে। আমরা চাই প্রতিটি সদস্য সমানভাবে মূল্যায়িত হবে। সদস্যদের সমস্যা ও সম্ভাবনার আলোচনার জায়গা হবে ই-ক্যাব। সদস্যদের কার্যক্রমে মুখরিত থাকবে ই-ক্যাবের কার্যক্রম।
ট্রেনিং ও প্রজেক্ট নির্ভর, উদ্যোক্তা তৈরীর জন্য ই-ক্যাব নয়। বরং বিদ্যমান উদ্যোক্তাদের গ্রোথ নিয়ে কাজ করার মত ই-ক্যাব চাই। সাসটেনেবল উদ্যোক্তা তৈরী হলে অর্থনীতিতে তার অবদান অনেক গুরুত্ব বহন করবে এবং সেই সঙ্গে সফল উদ্যোক্তাদের সহচার্যে নতুন উদ্যোক্তারাও ইতিবাচকভাবে বেড়ে উঠবে। আমরা চাই ইসি কমিটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করুক। কোন সদস্য কিছু জিজ্ঞেস করার সঙ্গে সঙ্গেই সেক্রেটারিয়েট থেকে সদস্যদের কাছে জবাব আসুক।