ক.বি.ডেস্ক: দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম আসমাউল ইসলাম। গত সোমবার (২০ জুন) নড়াইল জেলার কালিয়া থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
দারাজের নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ বানিয়ে অবিশ্বাস্য অফার দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন আসমাউল। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে অনলাইন প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১টি ল্যাপটপ, ৪টি মোবাইল ফোন এবং দারাজের নামে পরিচালিত বেশ কয়েকটি ভুয়া ফেসবুক একাউন্ট জব্দ করা হয়।
ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের স্মাগলিং অ্যান্ড ফেক কারেন্সী টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মান্না দে জানান, দারাজের নামে ভুয়া ফেসবুক একাউন্ট খুলে প্রতারণার তথ্য পেয়ে গত ২৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের একজন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার। মামলার তদন্ত করে দ্রুতই প্রতারক চক্রটিকে শনাক্ত করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, আসমাউল দারাজের নামে একটি ভুয়া ফেসবুক পেজ খুলে সেখান থেকে ৬৫% ছাড়ে নতুন মোবাইল ফোন (সঙ্গে একটি স্মার্ট ঘড়ি ফ্রি) বিক্রির অফার দেয়। সেখানে বিকাশে ৫২০ টাকা ডেলিভারি চার্জ অগ্রিম পরিশোধ করার শর্তে ১২ ঘন্টায় হোম ডেলিভারি দেয়ার অফারও দেয়া হয়। আগ্রহী ক্রেতারা অগ্রিম টাকা পরিশোধ করার পর প্রতারকেরা পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে ঐ অর্থ আত্মসাত করে এবং লিংক আইডিগুলো বন্ধ করে দিয়ে নতুন আইডি খোলে।
এ প্রসঙ্গে দারাজের সিসিএও হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে দারাজের মতো বিশ্বস্ত প্লাটফর্মের সাদৃশ্যে ভুয়া পেজ তৈরী করে ক্রেতাদের প্রতারিত করে আসছিল। বিশেষ ততপরতার সঙ্গে প্রতারক চক্রটিকে শনাক্ত ও আটক করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল বিভাগ। গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ, আমরা সব ধরণের অফার ও লেনদেন আমাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও দারাজ অনলাইন শপিং অ্যাপের মাধ্যমে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। তাই অন্য কোন পেজ বা ওয়েবসাইট দেখে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না।