ক.বি.ডেস্ক: দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবা হিসেবে চিহ্নিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এই প্রজ্ঞাপন জারির ফলে দেশে প্রযুক্তি পণ্য আমদানিকারক, পরিবশেক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমুহের যানবাহন এবং কর্মরত কর্মী পরিচয়পত্র বহন ও প্রদর্শন সাপেক্ষে করোনা মহামারির কারণে ‘লকডাউন’ বা ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ এর সময়েও চলাচল করতে পারবে। যদিও এর আওতায়, প্রযুক্তি পণ্যের দোকান বা শপিং সেন্টারগুলো খোলা যাবে কিনা সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
আজ মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের প্রশাসন শাখা থেকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবা হিসেবে চিহ্নিত করে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রশাসন শাখার উপসচিব ইসরাত জাহান এ প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত ১১ জুলা্ই দেশের হার্ডওয়্যার শিল্পের একমাত্র বানিজ্য সংগঠন বাংলাদশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) পক্ষ থেকে পাঠানো এক চিঠির সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবার আওতায় বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, খাদ্য, শিক্ষা, গণমাধ্যমসহ সব খাতকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে তথ্যপ্রযুক্তি। জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম সচল রাখতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবা হিসেবে গণ্য করে হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী এবং সলিউশন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জনবলকে জরুরি চলাচলের সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে গত ১৩ জুলাই জারিকৃত নির্দেশনাগুলোর ২.১০ ক্রমে জরুরি/অত্যাবশকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোর কর্মচারী ও যানবাহন পরিচয়পত্র দেওয়া সাপেক্ষে চলাচল করতে পারবে।
যদিও এর আওতায়, প্রযুক্তি পণ্যের দোকান বা শপিং সেন্টারগুলো খোলা যাবে কিনা সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি
দেশের প্রযুক্তি খাতের সংগঠনগুলো করেনা মহামারির শুরু থেকেই লকডাইন এবং কঠোর বিধিনিষেধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রযুক্তি পণ্যকে জরুরী সেবার আওতায় আনার দাবীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভ্ন্নি মিডিয়ায় কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বিশেষ করে এলিফ্যান্ট রো্ডস্থ প্রযুক্তি পণ্যের ব্যবসায়ীরা এবং এলিফ্যান্ট রোড কমপিউটার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতি (ইসি্এস) জোড়ালো ভুমিকা রাখেন। তাদের মূল দাবীই ছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রযুক্তির সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রতিটি খাতে প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তি পণ্যের প্রয়োজনীয়তা অপিরহার্য। প্রযুক্তি সেবা বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। আর সেই জন্যই প্রযুক্তি পণ্যকে জরুরী সেবার আওতায় আনার দাবী করেন সংগঠনগুলো।