ক.বি.ডেস্ক: ঢাকার আইডিবি ভবনের বিসিএস কমপিউটার সিটিতে জমে ওঠেছে ‘‘বিজয়ে প্রযুক্তি মেলা ২০২১’’। হাল প্রযুক্তির কমপিউটার, ল্যাপটপ প্রেমীদের আনাগোনায় মুখর মেলা প্রাঙ্গণ।মেলার দ্বিতীয় দিন বুধবার ঘুরে দেখা যায়, বিকেল বেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে অন্যান্য সময়ের চেয়ে। কেনাকাটার চেয়ে ঘুরে ঘুরে প্রযুক্তিপণ্য দেখছেন তাঁরা। দর্শনার্থীর মধ্যে রয়েছে স্কুল শিক্ষার্থীরাও। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার ওপর রয়েছে অফার। মেলা চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত। এবারের মেলার স্পন্সর আসুস, গিগাবাইট, লেনোভো ও টেন্ডা।
প্রথমবারের মতো এবার মেলায় থাকছে না কোন প্রবেশ টিকেট এবং ফেসবুকে রেজিস্টেশন করলেই থাকছে উপহার। ৫০০ টাকার পণ্য ক্রয় করলেই থাকছে একটি করে লাকী কুপন। মেলায় থাকছে বিশেষ ছাড় ও অনেক অনেক উপহার।

মেলায় কেউ আসছেন ল্যাপটপ কেনার উদ্দেশ্যে এবং মেলায় মূল্য ছাড়ে পছন্দের যন্ত্রটি কেনার জন্য। বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ঘুরে দেখছেন নতুন প্রযুক্তি পণ্য আর পছন্দ হলেই কিনে ফেলছেন। পুরো মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে ঘুরে দেখছেন প্রযুক্তি প্রেমীরা। মেলা উপলক্ষে প্রযুক্তি পণ্যটি কিনতেই কমপিউটার সিটিতে আসছেন। মেলায় পছন্দের ল্যাপটপ, কমপিউটারসহ অন্যান্য পন্য খুঁজে পেতে সুবিধা অনেক বেশি। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে মূল্যছাড় আর রয়েছে বিশেষ ছাড় ও উপহার।
মেলা প্রসঙ্গে বিজয়ে প্রযুক্তি মেলা ২০২১ এর আহব্বায়ক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, মেলা নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। শুধু ব্যবসায়িক বিবেচনায় নয়, নতুন নতুন প্রযুক্তিপণ্যও ক্রেতাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। মেলা উপলক্ষে কমপিউটার সিটির বিভিন্ন দোকানে রয়েছে বিশেষ মূল্য ছাড়। বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে দেয়া হচ্ছে আকর্ষণীয় উপহার।

গতকাল মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ‘বিজয়ে প্রযুক্তি মেলা ২০২১’ এর উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ সময় তিনি বলেন, বিজয়ের মাসের ১২ তারিখে বাংলাদেশে ৫জি চালু হবে। এর ফলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নতুন যুগে প্রবেশ করবে। বাংলাদেশে ২০০৮ সালে মাত্র ৮ লাখ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করতো। ২০২১ সালে এসে সেই সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২ কোটিতে। এতো ব্যবহারকারী থাকার পরও আমাদের ইন্টারনেট বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছি। ২০২৪ সালে দেশে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল চালু হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, বিসিএস কমপিউটার সিটির প্রথম সভাপতি আহমেদ হাসান জুয়েল, স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম, গ্লোবাল ব্র্যান্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল ফাত্তাহ এবং বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ এল মাজাহার ইমাম চৌধুরী (পিনু চৌধুরী)।