Monday, November 25, 2024
More

    সর্বশেষ

    চালু হলো ই-কমার্স ব্যবসার জন্য নিবন্ধন

    ক.বি.ডেস্ক: ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য চালু হলো ডিজিটাল বিজনেস আইডেন্টিটিফিকেশন (ডিবিআইডি) ব্যবস্থা। এখন থেকে ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, অ্যাপসসহ সব ধরনের অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এই ব্যবস্থায় নিবন্ধন নিতে হবে। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবসায় যে আস্থাহীনতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতার অভাব দেখা দিয়েছে তা দূরীভূত হবে।

    আজ রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডিজিটাল কমার্স ব্যবসার সার্বিক পর্যালোচনার জন্য আয়োজিত জরুরি আন্ত:মন্ত্রণালয় সভাশেষে এ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব ও কেন্দ্রিয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ইক্যাব সভাপতি শমী কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১১টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেয়া হয়।

    টিপু মুনশি বলেন, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সবাইকে একটা প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা হবে। ডিবিআইডি দেয়া মানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে একটা ডকুমেন্ট দেয়া। এটা দেখিয়ে তারা কর সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও ব্যাংক ঋণ কিভাবে পেতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে। এর মাধ্যমে ই-কমার্সে অনিয়ম, প্রতারণা কমে আসবে। যেসব প্রতারক প্রতিষ্ঠানের টাকা আটকে আছে, তাদের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়া হবে। আইনি কিছু বিষয় রয়েছে, সেগুলোর সমাধানে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে টাকা ফেরত দেয়া হবে।

    সালমান এফ রহমান বলেন, ছোট ও নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করবে এই প্ল্যাটফর্ম। এ ধরনের উদ্যোক্তারা যাতে টিআইএন, ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ব্যাংক ঋণ পেতে সমস্যায় না পড়েন সেজন্য একটা আন্ত:মন্ত্রণারয় সভা করা হবে।

    অনুষ্ঠানে ১১টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেয়া হয়

    জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে, ডিবিআইডি চালুর মাধ্যমে সেই সংকট দূর হবে। এটি অনলাইন ব্যবসাকে শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য ভিত্তি দেবে। এরপর এ খাতের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য সেন্ট্রাল কমপ্লেন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্ভার চালু করা হবে। ই-কমার্স খাতে কী পরিমাণ লেনদেন হয়, কী পরিমাণ পণ্য কেনাবেচা করে, তা পর্যবেক্ষণের জন্য সেন্ট্রাল লিকুইডিটি ট্র্যাকিং প্রোগ্রাম সিএলটিপি চালু করা হবে। একটি ইন্টার অপারেটর ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করা হবে, যা একটি পণ্য কোথায় যাচ্ছে তা ট্র্যাকিং করবে। এই চার কার্যকর পদক্ষেপে ই-কমার্স খাতকে বিশ্বাসযোগ্য জায়গায় নিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.