ক.বি.ডেস্ক: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত এককভাবে কোনো দেশের পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আন্তদেশীয় যোগাযোগের মাধ্যমে এ বিষয়ে সম্মিলিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। আন্তর্জাতিক সাইবার হামলার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও রক্ষার বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী গত সোমবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি আয়োজিত ‘‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জাতীয় পর্যায়ে উদীয়মান সাইবার হুমকি’’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমিন এবং বিজিডি ই-গভ সার্ট পরিচালক তারেক মোসাদ্দেক বরকতউল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গোপনেই দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে। আর্থিক ও পাওয়ার সেক্টর ছাড়াও এবার দেশের মোবাইল অপারেটরদের ওপর দৃষ্টি পড়েছে সংঘবদ্ধ হ্যাকারদের। ইতোমধ্যেই একাধিক মোবাইল অপারেটর ইনফেক্টেড। অপারেটরগুলোর ডেটাবেজ, সার্ভার ও পরিকাঠামো ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে। তারা বেসরকারি কোম্পানি হলেও সেখানে কিন্তু আমাদের ১৮ কোটি সিম ব্যবহারকারী আছে। সেখানে যদি কোনো ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে বা সাইবার হামলা হয়, তাহলে কিন্তু ওই বেসরকারি কোম্পানি একা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য দ্রুত আইটি অডিট করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসইতে একটি সফটওয়্যার টেস্টিং ল্যাব থেকে সংশ্লিষ্টদের নিরীক্ষা করিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সুচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হ্যাকারদের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে ব্যাংকিং ও সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিদ্যুত সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনগুলো ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে মূলত ৪টি পূর্ব শর্ত নিশ্চিত করতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ। ওপেনসোর্স ইন্টিলিজেন্স বা ওএসআইএনটির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে স্টেট স্পন্সর হ্যাকারদের ততপরতা বেড়েছে। সে জন্য তিনি সবাইকে সতর্ক ও প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাইবার হামলার শিকার হয়েছে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটররা। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছে সরকারের সাইবার সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থাগুলো। কোন কোন মোবাইল অপারেটর এই সাইবার হামলার শিকার হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে এখনও জানা যায়নি। দেশে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক এবং টেলিটক মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসেবে সেবা দিচ্ছে।