Friday, November 22, 2024
More

    সর্বশেষ

    কেরানীগঞ্জে ‘আইটি/হাই-টেক পার্ক’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

    ক.বি.ডেস্ক: ঢাকার কেরানীগঞ্জে ‘‘আইটি/হাই-টেক পার্ক’’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কেরানীগঞ্জের ৩.২৭২ একর জমিতে এই হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় ১৫,০০০ জনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

    আজ  মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জের ঝিলমিলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘আইটি/হাই-টেক পার্ক’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিদ্যুত, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ।

    অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বলেন, কেরানীগঞ্জে আইটি/হাই-টেক পার্ক এর মাধ্যমে আইটি ইন্ডাস্ট্রিতেও এখন কেরানীগঞ্জবাসীর অবদান রাখার ক্ষেত্র প্রস্তুত হলো। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার সময় অনেকেই বিদ্রুপ করেছে। অথচ এখন এই ডিজিটাল বাংলাদেশ কোনো স্বপ্ন নয়ম বাস্তবতা। এই হাই-টেক পার্ক স্থাপন সম্পন্ন হলে এই এলাকার ছেলেরা গতানুগতিক ব্যবসা-বাণিজ্যর বদলে অনলাইনে কাজ করে ডলার উপার্জন করতে পারবে যা এই দেশের আর্থ-সামাজিক পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তন আনবে।

    জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের প্রতিটি মানুষ ভোগ করছে। আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদূরদর্শিতা দিয়ে একটি স্বল্পোন্নত দরিদ্র প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিণত করেছেন। তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণরা চাকরি করবে না চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে। আগামীতে আমাদের মেধাবী তরুণরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি রোবটিক্স, আইওটি, সাইবার সিকিউরিটি টুলস তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করবে।

    শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, বর্তমানে দুই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকারর ঋণ প্রদান করছে। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করবে।

    ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, এখন পর্যন্ত হাই-টেক পার্কসমূহে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এর মধ্যে ১২৩টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং ১৫১টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনা মূল্যে স্পেস/কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আইটি ইন্ডাস্ট্রির জনবলের চাহিদার দিক বিবেচনা করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মধ্যমে আইসিটি খাতে দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে ৩৬০০০ জন। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইসিটি খাতে প্রায় ২২০০০ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.