ক.বি.ডেস্ক: আন্তর্জাতিক নারী দিবস এর প্রতিপাদ্য #ব্রেকদ্যবায়াস নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (৮ মার্চ) জিপিহাউজে এক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস পালন করেছে গ্রামীণফোন। মানুষ স্বভাবতই অনেক সময় পক্ষপাতমূলক আচরণ করে। জাতিসংঘের এক গবেষণা অনুযায়ী, ৯০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে। নানা ধরনের ও বৈচিত্র্যের মানুষ গ্রামীণফোনে কাজ করেন আর এক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি দূর করতে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্রামীণফোন সবসময়ই পক্ষপাতহীন কর্মপরিবেশের ধারণাকে উতসাহিত করে। এ বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণফোন বিস্তৃত গবেষণা করেছে। গবেষণায় দেখা যায়, কর্মক্ষেত্রে নারীদের সাতটি সাধারণ পক্ষপাতমূলক আচরণের মুখোমুখি হতে হয়, যেগুলো চিহ্নিত করে দূর করতে হবে। এ পক্ষপাতমূলক আচরণের মধ্যে রয়েছে- পারফরমেন্সের ওপর লৈঙ্গিক বিষয়ের প্রভাব; নারীরা প্রয়োজনের জন্য উপার্জন করেন না বরং তারা বিলাসিতার জন্য উপার্জন করেন; সেলস ও টেক শুধু পুরুষদের কাজ; নারীরা শীর্ষস্থানীয় পদে আসীন হতে পারবেন না; নারীরা ডেস্কে বসে কাজ করার জন্য উপযুক্ত; নারীরা কঠিন কাজ/প্রজেক্ট শেষ করতে পারবেন না এবং বিয়ে বা মাতৃত্বকালীন ছুটির পর তাদের কর্মদক্ষতা কমে যায়। গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে কর্মক্ষেত্রে এসব চিহ্নিত ধারনাগুলো দূর করা প্রয়োজন।
গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহনকারীরা এসব পক্ষপাতমুলক ধারনাগুলোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বক্তারা এ পক্ষপাতগুলো চিহ্নিত করতে করণীয়সমূহের ওপর আলোকপাত করেন, যাতে সবার জন্য পক্ষপাতহীন কর্মপরিবেশ তৈরি করা যায়। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ইয়েন্স বেকার, চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন সাদাত এবং প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ইয়াসির আজমান বলেন, নারীদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের পক্ষপাত দূর করার এটিই উপযুক্ত সময়। কারণ আমরা একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। গ্রামীণফোনে নারীদের জন্য বৈষম্যহীন কর্মক্ষেত্র ও অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মপরিবেশ তৈরিতে সবসময় গুরুত্বারোপ করা হয়। জেন্ডার সমতা-ভিত্তিক কর্মক্ষেত্র তৈরিতে নারীদের জন্য সাতটি পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়টি চিহ্নিত করেছি, যা নিয়ে আমরা আগামী দিনগুলোতে কাজ করবো।