মানুষের চাহিদাকে সামনে রেখে স্মার্টফোন ও প্রযুক্তি নিয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। তথ্য দেয়া থেকে শুরু করে স্মার্টফোন বিক্রয়ের পরেও ভিভো গ্রাহকদের স্মার্টফোন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সেবা দেয়। ফোন করার পাশাপাশি ই-মেইলের মাধ্যমেও ভিভো’র সঙ্গে স্মার্টফোন সংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগ করা যায়, যার সাড়া মেলে সবসময় সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই।
বাংলাদেশে কাজ শুরুর পর প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে দেশের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের নিরন্তর গ্রাহক সেবা দিয়ে যাচ্ছে ভিভো। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে স্মার্টফোন সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। করোনা পরিস্থিতিতে বেড়েছে অনলাইন সেবার পরিসীমা। ভিভোও সেক্ষেত্রে বাড়িয়েছে অনলাইন সেবার পরিধি, আর তা চলমান রয়েছে করোনা পরবর্তী সময়েও। অনলাইনের মাধ্যমে এখন বাসায় বসেই যাচাই-বাছাইয়ের পর কেনা যাচ্ছে ভিভো’র যেকোনো স্মার্টফোন। অর্ডার করলেই বাসায় পৌঁছে যাচ্ছে ভিভো’র স্মার্টফোন।
গ্রাহক সেবা নিয়ে বলতে গিয়ে ভিভো বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (পিআর) রিয়াসাত আহমেদ বলেন, তারুণ্যনির্ভর ব্র্যান্ড হিসেবে ভিভো গ্রাহকদের স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রতিটি ধাপে সেবা দিতে চায়। বিশেষ করে বিক্রয় পরবর্তী সেবায় বাড়তি জোর দিয়ে থাকে ভিভো। বাংলাদেশে গ্রাহক সেবা দিয়ে আমরা অসাধারণ প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। এদেশের গ্রাহকদেরকে ভিভো স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারের দূর্দান্ত অভিজ্ঞতা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। ভিভো সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে স্মার্টফোন সেবা নিয়ে গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে চায়, যাতে গ্রাহকরা কোনো ঝামেলা ছাড়াই ভিভোর নিত্যনতুন উদ্ভাবনগুলো উপভোগ করতে পারে।
গ্রাহকরা যেসব মাধ্যমে ভিভো’র যেকোনো গ্রাহকসেবা পেতে পারেন তা নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন:
ভিভো কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার: বর্তমানে সারা বাংলাদেশে ভিভো’র রয়েছে ২০টি কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার। এর মাঝে ঢাকায় রয়েছে ২টি; আর ঢাকার বাইরে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে। এই গ্রাহক সেবা কেন্দ্রগুলোতে প্রতিটি কাস্টমারকে এক ঘন্টার ভিত্তিতে তাদের ভিভো স্মার্টফোনের সমাধানের যেকোনো সার্ভিস সরাসরি দেয়া হয়ে থাকে।
ভিভো সার্ভিস ডে: দেশে ভিভো’র সবচেয়ে জনপ্রিয় সেবা ভিভো সার্ভিস ডে। ভিভো সার্ভিস ডে পালিত হয় প্রতি মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার। গত বছরের নভেম্বর মাসে এই সার্ভিসটি চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর সারাদেশের প্রায় ৬৪ জেলার গ্রাহকদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পায় এই সার্ভিস। ওইদিন বিনা মূল্যে বিক্রয় পরবর্তী সেবা পান গ্রাহকরা। বিনা মূল্যে সেবাগুলোর মধ্যে থাকে ফ্রি পেস্টিং অব প্রটেক্টিং ফিল্ম, ফ্রি সফটওয়্যার আপগ্রেড। স্মার্টফোনের চার্জার, ডাটা ক্যাবল ও ইয়ারফোন কেনার ক্ষেত্রে ১০% ছাড় পান গ্রাহকরা।
কল সেন্টার, ফেসবুক, ই-মেইল: কল সেন্টার, ফেসবুক ও ই-মেইলে নিয়মিত কাজ করছে ভিভো’র সুদক্ষ কর্মীরা। এই মাধ্যমগুলোতে যোগাযোগের পর স্বল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত সাড়া দেন তাঁরা। ভিভোর হটলাইন নম্বর ০৯৬১০৯৯১০৭৯; এটি যেকোনো পাবলিক হলিডে ব্যতিত প্রতিদিন সকাল ৯.০০ টা থেকে ৬.০০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রয়েছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পেজ https://www.facebook.com/vivoBangladesh এবং ই-মেইল এড্রেস service.bd@vivo.com । খুব শীঘ্রই এই কল সেন্টার সার্ভিসটি ২৪ ঘন্টায় উপনীত হবে বলেও জানিয়েছে ভিভো। কল সেন্টার, ফেসবুক অথবা ই-মেইল; এর যেকোনো মাধ্যমেই ভিভো স্মার্টফোন সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো কিছু জানার থাকলে সহজেই প্রশ্ন করে জানা যায়, আর সেখানে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সাড়া দেয় ভিভো।
ভিভো ডোরস্টেপ ডেলিভারি সার্ভিস: করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে লকডাউনে চলে যায় সারাদেশ। ওই সময় ডোরস্টেপ ডেলিভারি সার্ভিস চালু করে ভিভো। ওই সেবার আওতায় ২৪ ঘণ্টা হোম ডেলিভারি সুবিধা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। লকডাউন শিথীল হওয়ার পর, এই সেবা কিছুটা শিথীল করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ এখনো হয়নি। ভিভো জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই হোম ডেলিভারি সেবাটি চালু থাকবে।
ভিভো ই-কমার্স: ভিভোর স্মার্টফোন পেতে যেন কাউকে ই-কমার্স সাইটে হন্যে হয়ে ঘুরতে না হয়, সেজন্য বর্তমানের চাহিদা মেটাতে ভিভো সহযোগিতা নিচ্ছে দেশের জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইটগুলোর। এখন ভিভো স্মার্টফোনগুলো পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে জিএন্ডজি, পিকাবু, রবিশপ এবং অথবা.কম
ভিভোর গ্রাহকসেবা সম্পর্কে আর তথ্য জানতে https://www.vivo.com/bd/support