বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে অগ্রগামী করতে ‘সেলিব্রেট লাইফ টুগেদার’ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ইমো। এটি ২০২১ সালে ইমো’র প্রথম ক্যাম্পেইন এবং এর মাধ্যমে এমন কিছু মানুষের গল্প ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে সামনে নিয়ে আসা হবে যারা ইমো ব্যবহার করে জীবনযাত্রার মান উন্নত করার পাশাপাশি নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন। এ ছাড়াও ক্যাম্পেইনটির উদ্দেশ্য হলো সকল ধরণের মানুষকে তাদের অনুপ্রেরণামূলক গল্প শেয়ার এবং ইমো’র সঙ্গে তাদের জীবনকে উপভোগ করতে উতসাহিত করা।#CelebratelLifetTogether-এ জয়েন করতে চাইলে একজন ইউজার ইমো নিয়ে তাঁর মৌলিক গল্প ক্যাম্পেইনের হ্যাশট্যাগ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং ইমোর মাইপ্ল্যানেটে শেয়ার করতে পারে।
প্রথম গল্প হিসেবে আজকে থেকে ইউটিউবে মেঘার গল্প দেখা যাবে। ২৬ বছর বয়সী তরুণী মেঘা ইমো’র মাধ্যমে কিভাবে তাঁর ক্যারিয়ার নতুনভাবে শুরু করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছে, সেটি উঠে এসেছে এই ভিডিওর মাধ্যমে। এ ছাড়াও পুরো বছর জুড়ে দেখানো হবে আরও কিছু নতুন মানুষের সফলতার গল্প।
মেঘা বলেন, আমি ইমোকে শুধুমাত্র একটি ম্যাসেজিং এবং কলিং অ্যাপ হিসেবে সীমাবদ্ধ করে রাখব না। আমি বরং বলবো সীমাহীন সুযোগ এই অ্যাপে অপেক্ষা করছে। এটি আমাকে জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করে আসছে এবং আমি বিশ্বাস করি এটির মাধ্যমে অনেকের জীবন পরিবর্তন করা সম্ভব, বিশেষ করে নারী এবং গৃহিনী যারা সাধারণত বাসার বাইরে খুব একটা বের হননা।
ইমো’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফার হিউ বলেন, ইমোতে আমরা মানুষকে সংযুক্ত করতে এবং তাঁদের জীবনমান উন্নত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা গর্বিত যে ইমো ব্যবহারকারীরা এটিকে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ বানাচ্ছেন এবং তাঁদের জীবনের অর্জনে ইমো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ইনস্ট্যান্ট কমিউনিকেশন মাধ্যম হিসেবে ২০২০ সালে ইমো ব্যবহারের সংখ্যা রেকর্ড ছুঁয়েছে। বাংলাদেশীরা প্রায় ৯,৬৮০ কোটি ম্যাসেজ এবং ২,৬০০ কোটি অডিও ও ভিডিও কল ইমোর মাধ্যমে করেছেন। এ ছাড়াও ইমো স্থানীয়করন এবং শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ২০২০ সালে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের অডিও ও ভিডিও কলে প্রায় ১৫ কোটি গিগাবাইট ডাটা বাঁচিয়েছে। ইনস্ট্যান্ট কমিউনিকেশন মাধ্যম ছাড়াও ইমো মাইপ্ল্যানেট কন্টেন্ট ফিড, ভয়েসরুম এবং গেমস ইত্যাদির মতো ইন্টারঅ্যাকটিভ ফাংশন তৈরি করেছে যেখানে মানুষ তাঁদের আগ্রহের বিষয় জানাতে পারে, প্রতিভার বিকাশ এবং জীবনের নতুন নতুন সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে পারে।