ক.বি.ডেস্ক: জাতীয় টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের নাগরিকদের জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে ‘‘ই-পার্টিসিপেশন ইনডেক্স’’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইসিটি বিভাগ, এটুআই এবং জাতিসংঘের ইউএনডেসা যৌথ আয়োজনে গত বুধবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং কাজাখস্তান ও ইয়েমেনের ই-পার্টিসিপেশন প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কর্মশালাটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন।
কর্মশালায় উন্নত রাষ্ট্রগুলোর মতো বাংলাদেশের জনগণের ই-পার্টিসিপেশন নিশ্চিত করতে নাগরিকদের অধিকার অনুযায়ী তথ্য ও সেবা প্রদান, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরামর্শ নেয়া এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে নাগরিকদের সম্পৃক্তকরণে ডিজিটাল ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বক্তারা। এ ছাড়া জাতীয় টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ই-পার্টিসিপেশন বিষয়ক অপরিহার্য কৌশলগত ও নীতিগত বিষয়সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
জাতিসংঘের ই-সরকারি জরিপের একটি পরিপূরক সূচক হলো ই-পার্টিশিপেশন ইনডেক্স (ইপিআই)। বাংলাদেশ সরকার ই-তথ্য, ই-কনসালটেশন এবং ই-সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারকরণের মাধ্যমে ই-পার্টিসিপেশন নিশ্চিতকরণে সংকল্পবদ্ধ। ই-পার্টিসিপেশন ইনডেক্স-এ পয়েন্ট বাড়ানোর মধ্য দিয়ে অনলাইন সার্ভিস ইনডেক্স, ই-গভর্নমেন্ট র্যাংকিং, ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেক্স প্রভৃতি আন্তর্জাতিক জরিপে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সমুন্নত হবে এবং ২০৩০ সালে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আলোকপাত করেন এটুআইর প্রকল্প পরিচালক মো. ড. আব্দুল মান্নান, ইউএনডেসা ডিপিআইডিজি ডিজিটাল গভর্নমেন্ট শাখা প্রধান, ভিনসেনজো আকুয়ারো, এটুআইর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, এটুআইর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, ইউএনডেসার ই-পার্টিসিপেশন প্রতিনিধি ওয়াই মিন ক্বোক, কাজাখস্তানের ই-পার্টিসিপেশন প্রতিনিধি ন্যাশনাল ইনফরমেশন টেকনোলজিসর ই-গভার্নেন্স মেইন্টেন্যান্স বিভাগ প্রধান গুলমিরা ইসাবেকোভা এবং ইউএনডেসার প্রতিনিধি (গভর্নেন্স অ্যান্ড পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিস-ডিপিআইডিজি) ডেনিস সুজার।