আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দেশের জনগণকে ডিজিটাল সেবা প্রদানের মাধ্যমে ইনলাইন থেকে অনলাইনে নিয়ে আসা হবে। আর্থিক লেনদেনে অনিয়ন, খরচ ও হয়রানি রোধে ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্লাটফর্ম (আইডিটিপি) চালু করা হবে বলেও তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ রবিবার (১৭ জানুয়ারি) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি মিলনায়তনে সরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রবর্তিত বার্ষিক কর্মসম্পাদনে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে জনসেবায় আইসিটি বিভাগ সেরা নির্বাচিত হওয়ায় এপিএ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদনে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪.৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে আইসিটি বিভাগ।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেনসহ বিভাগ ও বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আইসিটির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে সকল সরকারি সেবা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল দর্শন। বার্ষিক কর্মসম্পাদনে জনসেবায় আইসিটি বিভাগের এ অর্জন আগামী দিনে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে আরও বেশি কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। প্রযুক্তির সুফল জনগণের কল্যাণে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। দেশের প্রযুক্তি খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও তরুণ প্রজন্মকে আইসিটিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্ড্রাস্টি প্রমোশন, ই-গভর্নমেন্ট ও তৃণমূল পর্যন্ত কানেক্টিভিটি এ ৪টি স্তম্ভ নিয়ে কাজ করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের কারণেই এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশ আইসিটিতে এগিয়ে আছে। বিগত ১২ বছরে দেশে আইসিটি খাতের যথাযথ অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে কোভিড-১৯ মহামারিতেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।