শবাসন:
এই আসনে অবস্থান কালে মরার মত নিস্পন্দভাবে শুয়ে বিশ্রাম নিতে হয়। চিত হয়ে শুয়ে পা দুটি লম্বা করে রাখতে হবে, দু পায়ের মাঝে এক ফুট থেকে দেড় ফুট ফাঁকা থাকবে। পায়ের গোড়ালির ভেতেরর দিকে এবং আঙ্গুলগুলি বাইরের দিকে থাকবে।
হাত দুটি লম্বালম্বিভাবে নিজের সুবিধামতো শরীরের দুপাশে মাটিতে রেখে হাতের চেটো উপর দিকে রেখে শরীরটা যতটুকু সম্ভব আলগা করে রাখতে হবে। এই আসনের ফলে মাংসপেশীগুল শিথিল হয়। শিরা-উপশিরায় ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালিত হওয়ায় ক্লান্তি দূর হয় এবং কর্মদক্ষতা বাড়ে।
পদ্মাসন:
এই আসন নিয়মিত করলে মেরুদণ্ড নমনীয় এবং সবল হয়। হজমশক্তি বেড়ে যায়, শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ হয়, অজীর্ণ ও কোস্টকাঠিণ্য সেরে যায়, বাত ভালো হয়। সতরঞ্চি পেতে দু পা ছড়িয়ে বসুন। ডান পা টেনে এনে বাম উরুর উপর তুলে দিন এবং অনুরূপভাবে বাম পা তুলে দিন ডান উরুর উপর।
নাভির ঠিক দুপাশে থাকবে গোড়ালি দুটো। দু হাত, দুপায়ের হাঁটুর উপর রাখুন। শরীর যেন বেশ সোজা থাকে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবে চলবে।
পবনমুক্তাসন:
লিভার ও প্লীহার দুর্বলতা দূর হয়, পাকস্থলী সবল হয়, পেটে চর্বি জমতে পারেনা, কোমরের বাত সেরে যায়। পা ছড়িয়ে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এখন শ্বাস গ্রহন চালিয়ে ডান হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে টেনে আনুন পেটের উপর। দুহাত দিয়ে চাপ দিন। পেটের উপর পায়ের চাপ পড়বে।
কিছুক্ষন পর পা-টাকে পূর্ব অবস্থায় ছড়িয়ে দিন। আবার একইভাবে বাম পা-কে পেটের উপর টেনে আনুন এবং পেটের উপর চাপ দিন। কিছুক্ষন পর বাম পা ছড়িয়ে দিন পূর্বাবস্থায়। এখন দুপা একসঙ্গে করে হাঁটু ভেঙ্গে পেটের উপর টেনে আনুন ও চাপ দিন।
৩০ সেকেন্ড পর পা ছড়িয়ে দিন। এইভাবে আসনটি সম্পূর্ণ হবে। অন্তত ৩ বার এই আসনটি করা ভালো।