মাতৃভাষার বিকাশ রক্ষা এবং তার প্রযুক্তিগত উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর : মোস্তাফা জব্বার

0
63

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ বাংলাভাষার নামে প্রতিষ্ঠিত একটি দেশ। রফিক,জব্বার, সালাম, বরকতদের রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করেছি। বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবীতে মাতৃভাষা দিবস করতে পেরেছি। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সারা পৃথিবীর মাতৃভাষা রক্ষা করার। মাতৃভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে মাতৃভাষার বিকাশ রক্ষা এবং তার প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করার জন্য সম্ভাব্য সব কিছু করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের উদ্যোগে আয়োজিত মহান ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মনিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, এমপি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ সালু এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল রহমান শহিদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ মাহবুবুর রহমান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রবর্তক জনাব মোস্তাফা জব্বার রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ১৯৪৮ এবং ৫২‘র ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ব্যাখ্যা করে বলেন, বাংলাদেশ বাংলা ভাষার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশ। পৃথিবীর একমাত্র রাষ্ট্রের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা বাংলা। বাংলাদেশের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এবং বাংলাভাষার রাজধানী এখন ঢাকায়। একুশের বই মেলা কিংবা এক মাসে চার হাজার বই প্রকাশের সক্ষমতা এখন আমাদেরই আছে। বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের পিতা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু দেশটির দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলা টাইপ রাইটার অপটিমা মুনীরা প্রবর্তন করেন। এই অঞ্চলকে মেধাবী মানুষের সুতিকারগার উল্লেখ করি তিনি বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবী এবং সাহসী মানুষটির নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মন্ত্রী বলেন প্রযুক্তিতে শতশত বছর পিছিয়ে থেকেও ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির যুগান্তকারী প্রভাব বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পাল্টে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে গত এগারো বছরে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি আজ সারা দুনিয়ায় অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনে এখন পৃথিবীকে ডিজিটাল বিপ্লবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে বিস্ময়ের বিস্ময়। উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশের সফলতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ৭৬৮ কোটি টাকার বাজেটের বাংলাদেশ গত অর্থবছরে সোয়া পাঁচ লাখ কোটি টাকার বাজেটের বাংলাদেশে রূপান্তর লাভ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।

টেকইকম ডেক্স

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে