মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ২৫০০ টাকা করে ৫০ লাখ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
বিকাশের মাধ্যমে ১৫ লাখ দুস্থ পরিবারের কাছে সরকারী এই অর্থ সহায়তা পৌঁছে যাচ্ছে ঈদের আগেই। রমজান ও ঈদের সময় এই অর্থ সাহায্য কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে এবং জরুরী প্রয়োজনে কাজে আসবে।
সরকারী সাহায্যের এই টাকা ক্যাশআউটের ক্ষেত্রে উপকারভোগীর কোন খরচ লাগছে না। মোট ক্যাশআউট খরচের ১৫ টাকা দেবে সরকার, বাকি ৩১.২৫ টাকা বিকাশ বহন করবে এই মহতী উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে। এনআইডি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে বিকাশ নিশ্চিত করেছে যেন সঠিক পরিবারের কাছেই অর্থ সহায়তাটি পৌঁছায়। সাহায্য পাওয়া পরিবারের সদস্যরা যেন নির্বিঘে এই টাকা ক্যাশআউট করতে পারেন সে ব্যাপারে সমস্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল। হাতে হাতে টাকা নিতে হবে না, কারো কাছে ধন্না দিতে হবে না, কাউকে বলতে হবে না। টাকা সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পৌঁছে যাবে।
অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারন্সিং এর মাধ্যমে অংশ নিয়ে বরগুনা জেলার একজন জেলে এবং শরীয়তপুর জেলার একজন ভ্যানচালক এই আর্থিক সহায়তা পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দূরদর্শী পদক্ষেপের কল্যাণেই আজকের এই মহামারী পরিস্থিতিতেও সহজেই প্রান্তিক মানুষের কাছে অর্থ সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হল। এই কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকতে পেরে বিকাশ গর্বিত। মহামারীর এই সময়ে রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের সরকারের প্রণোদনায় বেতন বিতরণের কাজ স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করছে বিকাশ। আমাদের বিশ্বাস, কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই বাড়তি কোন খরচ না করে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা পাওয়া উপকারভোগীরাও বাড়ির কাছের বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে খুব সহজে ক্যাশআউট সেবা নিতে পারবেন।