টিভি২৪ ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীদের একান্ত সচিবগণের অংশগ্রহণে ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ অনলাইনে ‘ই-নথি বিষয়ক কর্মশালা’ আয়োজন করা হয়েছে। অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, এমপি কর্মশালার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ-এর সভাপতিত্বে ও এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোঃ আব্দুল মান্নান পিএএ এর পরিচালনায় কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব ও এটুআই-এর যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর এবং নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান এবং এটুআই-এর ন্যাশনাল কনসালটেন্ট (সিনিয়র সহকারি সচিব) মিজ নিলুফা ইয়াসমিন।
ফরহাদ হোসেন, এমপি বলেন, একটি দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে কর্মকর্তাদের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা ও সক্ষমতার উপর। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ-এর দক্ষ নেতৃত্বে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ আজ প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গিয়েছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবতায় রূপ লাভ করেছে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট কোর্সটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং কাজকে অনেক সহজ করে দিতে পারে। কোভিড-১৯ এর কারণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ব্যাপক লাভবান হয়েছে, কারণ সারা বিশ্বের প্রযুক্তি ব্যবহারের যে বাস্তবতা তার সাথে জনগণ খুব সহজে নিজেদের মানিয়ে নিতে শিখেছে।
এন এম জিয়াউল আলম পিএএ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, সরকারের ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ই-নথি এখন সারাবিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। ২০১২ সালে ই-সার্ভিস কার্যক্রম শুরু হলেও সে সময় ইনফ্রাস্ট্রাকচার ততটা উন্নত ছিল না। কিন্তু বর্তমানে ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নত হওয়ার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে ই-নথির কার্যক্রম প্রসারিত হয়েছে। তিনি বলেন, ই-নথি থেকে এর তৃতীয় সংস্করণে ডিজিটাল নথি’তে রূপান্তর কারার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স’সহ নানা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এবং নথির নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি আরো সুদৃঢ় করা হবে।
উক্ত কর্মশালায় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মহোদয়গণের জন্য সার-সংক্ষেপ, ই-সাইন, ই-নথির নতুন সংযোজিত বৈশিষ্ট্যসমূহ এবং ই-নথির নতুন ভার্সন সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।