গবেষণা এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এলক্ষ্যে আজ (সোমবার) অনলাইনের জুম প্ল্যাটফর্মে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এলক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ড. ইডেন ওয়াই উন সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সম্প্রতি আমরা থাইল্যান্ড সফর করি এবং সেখানে এআইটির প্রেসিডেন্ট ড. ইডেন ওয়াই উন ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল হাইকে নিয়ে উচ্চপর্যায়ে বিভিন্ন মিটিং করে যৌথভাবে কাজ করার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করি। গবেষণা এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন; এআইটি-তে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করতে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তখনই আলোচনার সূত্রপাত হয়। আজ সেই আলোচনা বাস্তবতায় রূপ পেলো।
তিনি বলেন, এই সমোঝোতার ফলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং ইমার্জিং টেকনোলজির উপর দক্ষতা বাড়াতে আমাদের তরুণ প্রজন্ম, সরকারী কর্মকর্তা এবং শিল্প বিশেষজ্ঞদের জন্য যৌথ প্রযুক্তিভিত্তিক ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করা হবে। এর ফলে সাইবার সিকুরিটি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, এআর, ভিআরসহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া আমাদের স্টার্ট-আপদের প্রশিক্ষণ, ইনকিউবেশন, মেন্টরিং এবং উদীয়মান স্টার্ট-আপদের জন্য বিনিয়োগের দুয়ার খুলতে সহায়ক হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এর সভাপতিত্বে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ; এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট ড. ইডেন ওয়াই উন প্রমুখ। আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।