টেকভিশন ডেক্স: ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন (ওয়াইইএফ) গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতায় আগামী ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম অনলাইন ভিত্তিক জীবন ঘনিষ্ঠ দক্ষতা অর্জনের আয়োজন ‘স্কুল অফ লাইফ’।
কভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে নিজেকে খাপ খাওয়াতে দেশের তরুণদের হতে হবে বিশেষ যোগ্যতা ও দক্ষতা সম্পন্ন, সে বিষয়টি মাথায় রেখে তরুণদেরকে সময়োপযোগী দক্ষতা শিক্ষা দিতে ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন গ্লোবাল চালু করতে যাচ্ছে পোস্ট-কোভিড রেডি অনলাইন স্কুল- ‘ওয়াইইএফ- স্কুল অফ লাইফ’।
১৩টি মাইক্রো লেভেলের কোর্স দিয়ে সাজানো হয়েছে ‘স্কুল অফ লাইফের’ এই কার্যক্রম। যার মধ্যে রয়েছে- নেটওয়ার্কিং, প্রেজেন্টেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট, প্রফেশনাল কমিউনিকেশন, আন্তর্জাতিক মানের সিভি প্রস্তুতি, পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং সহ গুরুত্বপূর্ণ নিত্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা। কর্মজীবনে প্রয়োজনীয় এসব দক্ষতা শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইন স্কুলটির অন্যতম আয়োজন কভিড পরবর্তী সময়ে মানসিক ও দৈহিক পরিচর্যা বিষয়ক কোর্স। প্রাত্যহিক জীবনে সাইবার ব্যুলিং মোকাবিলাসহ আরও থাকছে ক্যারিয়ার গঠনের প্রয়োজনীয় টিপস এবং উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার মূলমন্ত্র। উচ্চতর চিন্তা শক্তি গঠন এবং সুস্থ ও নিরাপদ জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে নিজেকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মূলনীতি সমূহ নিয়েও আলোচনায় থাকবে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা।
অনলাইন ভিত্তিক এই শিক্ষা কার্যক্রমে রিসোর্স পার্সন হিসেবে থাকছেন দেশবরেণ্য শিক্ষক, চিকিৎসক, সফল উদ্যোক্তা, জনপ্রিয় গণমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব, লাইফকোচ সহ টপিক সংশ্লিষ্ট বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ। ‘স্কুল অফ লাইফে’র কোর্সগুলো মূলত তরুণদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তবে, ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে যে কেউ অংশ নিতে পারবেন এই কোর্সে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নিজেকে কোর্সে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে তরুণ শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে কোর্স ফি রাখা হয়েছে দুহাজার টাকা মাত্র। তবে, বয়স, স্থান, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা, এবং স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা শর্তে যে কোন আবেদনকারী ওয়াইইএফ গ্লোবালের শতকরা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্কুল অফ লাইফের বাংলাদেশ পর্বের সমন্বয়ক, ওয়াইইএফ বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি হেড, নাইম মাহমুদ। সেক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি প্রাপ্তরা মাত্র ১৯৯/- টাকা রেজিস্ট্রেশন ফী প্রদানের মাধ্যমে ১৩টি কোর্সের সবগুলোতেই অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন।
স্কলারশিপ আবেদনের শেষ সময় আজ ৯ই আগস্ট। স্কলারশিপ এর জন্য আবেদনের লিংকঃ https://forms.gle/ECcHePb4rmtiPGvJ6
প্রতিটি কোর্সই প্রশিক্ষকের সরাসরি তত্বাবধানে অনলাইনে পরিচালিত হবে। বিষয়ভিত্তিক লেকচারগুলো মূলত মাতৃভাষা বাংলায় প্রদান করা হবে। তবে, প্রেজেন্টেশন স্লাইডগুলো থাকবে ইংরেজিতে। প্রতিদিনের ক্লাস শেষে সংশ্লিষ্ট প্রেজেন্টেশন স্লাইডগুলো অংশগ্রহণকারীদের ইমেইল করা হবে; এছাড়াও প্রয়োজনে ক্লাস রেকর্ডিং দেখতে পারবে। প্রতিটি মাইক্রো কোর্স শেষে মূল্যায়ন ব্যবস্থা হিসেবে থাকবে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর পরীক্ষা। সবগুলো কোর্সে অংশগ্রহণকারী এবং প্রতিটি কোর্সের মূল্যায়নে ৬০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্তদের জন্য থাকবে অংশগ্রহণমূলক সম্মানননা সনদ।
বিশ্বায়নের এই যুগে কিভাবে নতুন প্রতিযোগিতা এবং নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তরুণদেরকে যোগ্য থেকে যোগ্যতর করে গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে কাজ করে আসছে ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন (ওয়াইইএফ) গ্লোবাল। ওয়াইইএফ গ্লোবাল এর “স্কুল অফ লাইফ” উদ্যোগটির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছেঃ ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ, কমনওয়েলথ ইয়ুথ ইনোভেশন হাব, ইয়ুথ হাব গ্লোবাল, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ, জিডিজি ক্লাউড বাংলা, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক, জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট, বাংলাদেশ পজেটিভ ফাউন্ডেশন, ড্রিমস ফর টুমরো। স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসাবে আছে টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ।
মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে নাগরিক টিভি, রেডিও একাত্তর।