ক.বি.ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী পঞ্চম বা ৫জি প্রযুক্তির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে অপো ও সুইডিশ বহুজাতিক নেটওয়ার্কিং এবং কমিউনিকেশন কোম্পানি এরিকসন। ৫জি’র উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অপো কমিউনিকেশন ল্যাব উন্নয়নে কাজ করবে স্টকহোমভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট এরিকসন।
নতুন আপগ্রেড কমিউনিকেশন ল্যাবের মাধ্যমে অপো এখন পরিপূর্ণভাবে ৫জি’র আরএফ ফ্রন্ট-অ্যান্ড, সফটওয়্যার আপডেট, রিজিওনাল টিউনিং ও টেস্টিংয়ের মতো গবেষণা ও উন্নয়নের (আরঅ্যান্ডডি) বিষয়গুলো অনুধাবন করতে পারছে। ফলে আগামীতে সর্বশেষ ৫জি প্রযুক্তি সম্বলিত অপো ফোন বাজারে পাওয়া যাবে।
অপো কমিউনিকেশন ল্যাবে তিনটি প্রধান মডিউল ব্যবহার করা হয়েছে: রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ল্যাব, প্রটোকল ল্যাব ও নেটওয়ার্ক সিমালটেশন ল্যাব। এর মধ্যে নেটওয়ার্ক সিমালটেশন ল্যাব নিয়ে কাজ করছে অপো ও এরিকসন এবং প্রটোকল ল্যাব নিয়ে কাজ করছে অপো ও শীর্ষস্থানীয় টেস্টিং প্রযুক্তি সরবরাহদাতা কিসাইট।
এ সম্পর্কে অপো’র প্রোডাক্ট স্ট্র্যাটেজি প্ল্যানিং ও অপারেশন সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস শু বলেন, অপো’র ৫জি ভেঞ্চারে কমিউনিকেশন ল্যাব নতুন মাইলফলক এবং এটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অপোর সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে। ৫জি’র দ্রুত সম্প্রসারণময় এই সময়ে আমরা এরিকসন ও কিসাইটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। এতে করে বিশ্ববাজারে অপোর ৫জি ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণ ও নিজেদের ঝালাই করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এরিকসনের কর্মকর্তা ম্যাগনাস ইওরব্রিং বলেন, অপো’র কমিউনিকেশন ল্যাব বিশ্বব্যাপী ৫জি’র বাণিজ্যিককরণের গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে ৫জি’র নতুন নতুন বিষয় নিয়ে অপো’র সঙ্গে কাজ করার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি।
কিসাইট ওয়্যারলেস টেস্ট গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট চাও পেং বলেন, যেকোন বাণিজ্যিক পণ্য প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আসার পূর্বশর্ত হচ্ছে বিশ্বাসযোগ্য পরীক্ষা। কিসাইট ও অপো’র জন্য প্রোটোকল এবং আরএফ ল্যাব স্থাপন একটি গুরম্নত্বপূর্ণ মাইলফলক।
নিজস্ব বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও শিল্প সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় অপো বিশ্বব্যাপী ৫জি’র ক্ষেত্রে বহু মাইলফলক স্পর্শ করেছে। সামনের দিনগুলোতে ৫জি’র অধিকতর সম্ভাবনা আবিষ্কারে অপো কাটিং-এজ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে এবং এরিকসনের মতো বৈশ্বিক প্রযুক্তি নেতাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে। উদ্দেশ্য ‘‘ইন্টারনেট অব এক্সপেরিয়েন্স’’ এই যুগে ৫জি’র সম্ভাবনা ও সম্প্রসারণ করা।