শোকাবহ ১৫ আগস্ট। ‘জাতীয় শোক দিবস’। বাঙালি জাতির শোকের দিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী। জাতির জনককে সপরিবারে নির্মম-নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ৪৫ বছর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। এদিন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙালির মহানায়ককে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবহমান থাকবে। জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ পালন করছে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি পণ্যের বাজার বিসিএস কমপিউটার সিটির ব্যবস্থাপনা কমিটি আয়োজন করেছে চার দিনব্যাপী (১৭-২০ আগস্ট) নানা কার্যক্রম।
কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বিনা মুল্যে কমপিউটার সেবা কর্মসূচি। চার দিনব্যাপী এই কার্যক্রমে প্রযুক্তি পণ্যের বাজার বিসিএস কমপিউটার সিটিতে আগত ক্রেতারা পাবেন বিনা মুল্যে কমপিউটার সেবা। অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ‘ফাস্ট কাম ফাস্ট সার্ভ’ শ্লোগানে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫টি ল্যাপটপ ও ২৫টি ডেস্কটপ পিসির জন্য এই সেবা দেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, ইঞ্জিনিয়াররা কোনো ডেটা সংরক্ষণের দায়িত্বভার গ্রহন করবেন না। ক্রেতাদেরই ডেটা সংরক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে তারপরই সেবা নিতে পারবেন। ইনঞ্জিনিয়াররা শুধমাত্র কমপিউটারের সমস্যা নির্ণয় করে দিবেন। সমস্যা নির্ণয়ের পর ক্রেতাদের পছন্দের যেকোনো দোকান থেকে এই সেবা নিতে পারবেন। এর জন্য নির্দিস্ট কোনো দোকানে যেতে হবেনা।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিল এবং এতিম খানায় খতমে কোরান ও এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হবে।