অনলাইনে শুরু হওয়া ৪৮ ঘন্টাব্যাপী সিটিও ফোরাম ‘ইনোভেশন হ্যাকাথন- ২০২০’ আয়োজন গত রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা নামল। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি অধিদপ্তরের আইসিটি শাখার মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসাইন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকার। সঞ্চালনা করেন কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আসিফ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন- ২০২০ এর যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সোহায়েল রেজা, প্রধান বিচারক অ্যামাজন ইউএসএ এর সলিউশন আর্কিটেক্ট মাহাদি-উজ-জামান, সিনিয়র সলিউশন আর্কিটেক্ট রমেশ দ্বারকানাথ, আয়োজনের অ্যাসোসিয়েট পার্টনার ওয়াইইএফ গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কাজী হাসান রবিন। সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন- ২০২০ এর আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
প্রথম সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন-২০২০ এর সেরা উদ্ভাবক দল হয়েছে টিম আলফা। ওয়েব ভিত্তিক প্যারামেডিক সার্ভিস বিষয়ক অ্যাপ তৈরি করে এই জয় পেয়েছে সাইয়েদা ফাহিমা জান্নাতের ছয় সদস্যের দল। প্রথম রানার্স আপ হয়েছে ডিজি ট্রি। এ দলের নেতৃত্ব দিয়েছে তারেক মাহমুদ। তারা তৈরি করেছে আইনি সহায়তার ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট। টেলিমেডিসিন সেবা খাতে স্মার্ট ডাক্তার প্রকল্পে মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন টিম ডার্ক লাইট দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় আবহাওয়ার খবর দেয়ার চ্যাটবট তৈরি করে স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ফারজানা রহমানের নেতৃত্বাধীন ব্লুবার্ড। স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড ও প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ দলের প্রত্যেকে পুরষ্কার হিসেবে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট এর পাশাপাশি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের সৌজন্যে পেয়েছে দুইশ ইউএস ডলারের গিফট ভাউচার এবং চ্যাম্পিয়ন দল সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট এর পাশাপাশি পেয়েছে পাঁচশ ইউএস ডলারের গিফট ভাউচার ও অ্যামাজন অ্যালেক্সা।
হোসনে আরা বেগম বলেন, এদেশের শতকরা ৩৫ ভাগ জনগোষ্ঠী বর্তমানে তরুণ সমাজের প্রতিনিধিত্ব করছে এর সুফল পেতে হলে তরুণদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। আজ যারা বিজয়ী হতে পারনি তারা সংকল্প করো যেন আগামী প্রতিযোগীতায় তোমরা বিজয়ী হতে পারো। এ সময় হাইটেক পার্কে সিটিও ফোরামের ইনোভেশন সেন্টারের জন্য স্থান বরাদ্দের আশ্বাস দেন তিনি।
তপন কান্তি সরকার বলেন, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি খাতে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদানের লক্ষ্যে একটি ক্লাউড ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন করে। এই ইনোভেশন সেন্টারের অন্যতম লক্ষ্য দেশের তরুণদের ক্লাউড প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা যাতে করে তারা বাস্তবভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে প্রোটোটাইপ তৈরি করতে পারে। যা পরবর্তী সময়ে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবে।