Monday, November 25, 2024
More

    সর্বশেষ

    সাইবার সিকিউরিটি সচেতনতা: সাইবার স্পেস ব্যবহারের সময় নিরাপদ থাকুন

    ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের (সিএসসি)  আয়োজনে গত শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) ‘সাইবার সিকিউরিটি সচেতনতা: সাইবার স্পেস ব্যবহারের সময় নিরাপদ থাকুন’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মো. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। অতিথি বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান তথ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান, ডাচ বাংলা ব্যাংকের আইটি নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মো. মুশফিকুর রহমান এবং ডিআইইউর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভুঁইয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক মো. মারুফ হাসান।

    মো. রেজাউল করিম বলেন, একটি দেশের জলপথ, স্থলপথ ও আকাশপথ সুরক্ষার জন্য যেমন ব্যবস্থা থাকে তেমনি সাইবার স্পেস রক্ষার জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে। এজন্য আমাদের নীতিমালা দরকার, প্রযুক্তি দরকার, অবকাঠামো দরকার এবং দক্ষ মানবসম্পদ দরকার। বাংলাদেশ ক্রমশ ডিজিটাল হচ্ছে। এখন থেকেই সাইবার নিরাপত্তার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সাইবার নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় একটি সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার গড়ে তুলেছে, এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। সাইবার নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকার অনেক তত্পর। ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন হয়েছে। তবে সর্বস্তরের জনগণ সচেতন না হলে কাংখিত সাফল্য আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে তিনটি ধাপ অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়, কর্মজীবী পর্যায় এবং বয়স্ক পর্যায়। এজন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং গাইড লাইন দরকার বলে অভিমত প্রদান করেন তিনি। সাইবার নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্বপ্রথম পলিসি মেকারদেও সচেতন হতে হবে। এরপর টেকনিক্যাল টিমদের সচেতন হতে হবে এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদেরকে সচেতন হতে হবে।

    ড্যাফেডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। সাইবার অপরাধ রোধ করা ও সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে উচ্চতর পর্যায়ের গবেষণা করাই এ প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান যেমন সেমিনার, কর্মশালা ইত্যাদি করে যাচ্ছে। এর বাইরে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা সেবা প্রদান করে থাকে সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার।

    সর্বশেষ

    পড়েছেন তো?

    Stay in touch

    To be updated with all the latest news, offers and special announcements.