ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭০টি দেশের ৯০০ জন শিক্ষার্থী, দলনেতা ও পর্যবেক্ষক নিয়ে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পর্দা উঠলো ১৮তম ‘‘আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড’’ (আইজেএসও ২০২১) এর। এমসিকিউ পরীক্ষা পর্ব দিয়ে শুরু হল এবারের হাইব্রিড পদ্ধতির অলিম্পিয়াড। হাইব্রিড পদ্ধতির অলিম্পিয়াড মানে হচ্ছে আইজেএসও’র প্রত্যেকটি অংশগ্রহণকারী দেশ তাদের নিজ নিজ দেশ থেকে অলিম্পিয়াডে অংশ নিবে। কিন্তু পরীক্ষাসহ, মূল্যায়ন ও ফলাফল সবকিছু অনলাইনে নিয়ন্ত্রণ করবে আয়োজক দেশ আরব আমিরাত।
এবার বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করছে খুলনা জিলা স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী এস এম আবদুল ফাত্তাহ ও কাজী নাদিদ হোসেন। খুলনা জিলা স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী স্বাধীন রায়, বরিশাল ক্যাডেট কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী মুহতাসিন আল ক্বাফি, ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী অম্লান দে অভিক এবং আকিজ ফাউন্ডেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুর রহমান।
এ ছাড়া আইজেএসও বাংলাদেশ দলের প্রধান দলনেতা হলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী। সহকারী দলনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান। পর্যবেক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গৌতম পাল এবং শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোরশেদা আক্তার ও রেজাউল ইসলাম।
বাংলাদেশে এই অলিম্পিয়াডের ব্যবস্থাপনা করছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি। করোনা অতিমারির কারণে এক বছর বিরতি দিয়ে আয়োজিত হচ্ছে অনুর্ধো-১৬ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক এই অলিম্পিয়াড। আগামী ২০ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে পর্দা নামবে এই আয়োজনের।
আইজেএসও-তে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান এই ৩টি বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের বহুনির্বাচনি, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের দক্ষতা যাচাই করা হয়। সেজন্য গত সেপ্টেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির তত্ত্বাবধানে বেশ কিছু আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। পাশাপাশ মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগারে (ম্যাসল্যাব) ব্যবহারিক বিজ্ঞানের প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হয়। আইজেএসও-র বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে: www.ijso.ae এই ওয়েবসাইটে।