অনলাইনে ‘রোবটিক্স’ বিষয়ে একটি দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ আয়োজন করে আইডিয়া প্রকল্প। আইসিটি বিভাগের বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের অধীনে আইডিয়া প্রকল্পের এডুকেশন ফর ন্যাশনের আওতায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণটি শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব। সভাপতিত্ব করেন আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক।
প্রশিক্ষণটিতে রিসোর্স পারসন হিসেবে ৩ জন অভিজ্ঞ প্রফেশনাল সংযুক্ত হন। ‘এক্সপেরিমেন্টাল রোবটিক্স’ বিষয়টি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রফেসর ড. এম এম এ হাসেম। ‘রোবটিক্স ও অটোমেশনের লার্নিং চ্যালেঞ্জসমূহ’ নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ আনোয়ারুল ফাত্তাহ। ‘রোবটিক্স প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ’ নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. লাফিফা জামাল। দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে খুলনা বিভাগের প্রায় ৫০ জনের অধিক প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।
এন এম জিয়াউল আলম বলেন, স্বাভাবিক সময়ের প্রশিক্ষণের থেকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ পদ্ধতি অনেকটা বেশি ইন্টারেক্টিভ হতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমান যুগে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মীদের চাহিদা ও মূল্য বেড়েছে। আমাদের জনশক্তিকে সম্পদে রূপান্তর করতে চাইলে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মীদের গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় এনে সেভাবেই চিন্তা করতে হবে। তাই ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির উপর অবশ্যই আমাদের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের আইটি প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেভাবেই তৈরী হচ্ছে বলে তিনি মনে করছেন।
পার্থপ্রতিম দেব বলেন, শুরুর দিকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের তাৎপর্য সঠিকভাবে অনেকেই বুঝে উঠতে না পারলেও এই করোনা পরিস্থিতিতে এর প্রয়োজনীয়তা অনেকেই বুঝতে পেরেছেন। এই কোভিড-১৯ এর তান্ডবেও আমাদের টিকে থাকার অন্যতম একটি কারণ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার। প্রযুক্তি ব্যবহার করেই আমাদের সকল প্রকার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য রয়েছে, সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এই ধরনের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও জ্ঞান অর্জন অত্যন্ত প্রয়োজন বলে তিনি মনে করছেন।
সৈয়দ মজিবুল হক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিশেষ করে তরুণদের অবশ্যই জ্ঞান অর্জনের জন্যে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে। প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। তাই আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।
আইডিয়া প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক কাজী হোসনে আরা, প্রকল্পের সিনিয়র পরামর্শক আর এইচ এম আলাওল কবির, প্রকল্পের পরামর্শক আদনীন জেরিন, শারমিন আকতার সাজ, কমিউনিকেশন্স বিষয়ক পরামর্শক সোহাগ চন্দ্র দাসসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকগণ, বিসিসি ও আইসিটি বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এ সময় অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ০১ জুলাই বুধবার সকাল ১০টায় অনলাইনে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) বিষয়ে পরবর্তী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনটি স্টার্টআপ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে (https://www.facebook.com/LetsStartupBD/) সরাসরি সম্প্রচারিত হবে ।