টেকভিশন ডেস্ক: বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে ১৭ টি দল নাসার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য মনোনীত হয়েছে। দলগুলোর মধ্যে ঢাকা বিভাগে রানার্সআপ হয়েছে আমাদের অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশের টিম `টিম এস২১এআরএসবি’। আমাদের প্রজেক্ট ছিল `হ্যাম এসওএস কম’। আমরা নাসার কনফ্রন্ট ক্যাটাগরিতে `এ ফ্লাড অব আইডিয়াস‘ নিয়ে অংশ নিয়েছিলাম। এখন আমরা নাসার বিশ্বব্যাপী আয়োজিত মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবো ।
প্রতি বছর পৃথিবীতে নানা দূযোর্গ আঘাত হানে। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া তথা বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য। দুর্যোগের আগাম খবর জানাটা কঠিন। দুর্যোগের সময় টেলিফোন, মোবাইল ফোন, টেলিভিশন ইন্টারনেটসহ সকল ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন আমাদের উদ্ভাবিত ডিভাইসটি স্যাটেলাইট থেকে রিয়েলটাইম ডাটা রিসিভ করে রডিও সিগন্যালের মাধ্যমে তার আশেপাশের এলাকা গুলোতে বার্তা প্রেরণ করবে। এছাড়াও আমাদের মোবাইল অ্যাপটি এফএম রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে নাসার স্যাটেলাইট থেকে দুর্যোগের আগাম খবর, সর্বশেষ খবর বিনা পয়সায় সরবরাহ করবে। এতে বিপুল সংখ্যক জানমাল ক্ষয়-ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
দলের সদস্যরা হলেন : তৌফিক রহমান, সভাপতি অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশ। অনুপ কুমার ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশ। সৈয়দ সামসুল আলম তুহিন সহকারী সাধারণ সম্পাদক অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশ।আবদুল্লাহ আল আরাফ, গবেষক আইডিইবি আইওটি এন্ড রোবটিক্স রিসার্চ ল্যাব। রাহাত উদ্দিন, গবেষক আইডিইবি আইওটি এন্ড রোবটিক্স রিসার্চ ল্যাব।
আবদুল্লাহ আল আরাফ আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, আমরা আশা করছি উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে আমাদের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারলে স্যাটেলাইটের ডাটা ব্যবহার করে মানুষ খুব সহজেই দুর্যোগের আগে প্রস্তুতি নিতে পারবে।
এছাড়া সমুদ্রে আমাদের মাছ ধরার ছোট ছোট নৌকা বা ট্রালার গুলোতে আমাদের এই সুবিধা পোঁছাতে পারলে পর্যাপ্ত আবহাওয়ার তথ্যের অভাবে যে নৌযানে গুলো বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে তা অনেকাংশে দূর করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি।
আমাদের এই প্রকল্পটি সারা বিশ্বের উপকূলীয় অঞ্চলের ২ বিলিয়ন মানুষের উপকারে আসবে আসবে বলে জানান টিমের এই গবেষক।