অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের উদ্যোগে গতকাল (০৭ সেপ্টেম্বর) দক্ষতা, কর্মসংস্থান ও এন্টারপ্রনারশীপ বিষয়ক সমন্বিত ইন্টিলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম-এর আওতায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ‘প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের এই সিস্টেমটি প্রশিক্ষণার্থী, ট্রেনিং সেন্টারের একটি ম্যাচ-মেকিং প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে অনলাইনে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা, ইন্ডাস্ট্রি লিংকেজ, জব প্লেসমেন্ট করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর দেশব্যাপী সকল দক্ষতা উন্নয়ন উদ্যোগসমূহ অনলাইনে মনিটরিং করতে পারবে এবং রিয়েল টাইম ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল প্রশিক্ষণ প্রদানকারী সেন্টারসমূহ এই সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের কোর্স ও পরীক্ষাসমূহ অনলাইনে ব্যবস্থাপনা এবং বেকার যুবকদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।
এ ছাড়া উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের ট্রেনিং সেন্টার তাদের রিপোর্টিং অনলাইনে করতে পারবে। এই সিস্টেমটিকে আপগ্রেডেশনের কাজ চলমান রয়েছে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণার্থীদের সয়ংক্রিয়ভাবে মূল্যায়ন, পেমেন্ট ব্যাবস্থাপনা, ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং, কেন্দ্রীয় ইয়ুথ ডেটাবেজ, সাপ্লাই ও ডিমান্ড সাইড-এর রিয়েল টাইম ডেটা ইত্যাদি সেবাসমূহ যুক্ত হবে।
অনলাইনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের এই সিস্টেমটি উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন এবং এটুআইর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান। সভাপতিত্ব করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ জামান খান কবির। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর-এর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপনা প্রদান করেন এটুআইর পলিসি স্পেশালিস্ট ও ফিউচার অব ওয়ার্ক ল্যাব লীড আসাদ-উজ-জামান এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. এরশাদ-উর-রশীদ।
এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি মূল স্তম্ভের মধ্যে ইনফ্রাস্ট্রাকচার অন্যতম। এর আওতায় বাংলাদেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত উচ্চগতি সম্পন্ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করতে পেরেছি। এর ফলে ই-গভর্নেন্স এর পদ্ধতি চালু হয়েছে পাশাপাশি ই-নথি ও ই-নামজারির মতো বিশ্বব্যাপী সমাদৃত কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার রপ্তানিও শুরু করেছি। তিনি বলেন, আমাদের আরো একটি স্তম্ভ হলো স্কিলস ডেভেলপমেন্ট, যদিও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও স্কিলস ডেভেলপমেন্টে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এটুআইর মাধ্যমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সেবা সহজিকরণে কাজ করা হয়েছে। এই সিস্টেমে রিয়েল টাইম অ্যাসেসমেন্ট এর মাধ্যমে সকল কার্যক্রম পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকছে। আমরা প্রযুক্তি উন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছি।
মো. আখতার হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় এই সিস্টেম বাস্তবায়নে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও এটুআই কে সকল সহযোগিতা প্রদান করবে। এটি বাস্তবায়িত হলে সারা দেশের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর-এর আওতায় চলমান প্রশিক্ষণ অনলাইনে মনিটরিং করে রিয়েল টাইম ডেটার উপর ভিত্তি করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভবপর হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ যুক্ত ছিলেন।