বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্র্যান্ডের ও নামের দৃষ্টিনন্দন মোবাইল ফোনসেট পাওয়া যায়। কিন্তু এসব ফোনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যাই নিম্নমানের। এসব কোম্পানি বিভিন্নভাবে ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা করলেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। ভোক্তার স্বার্থ নিয়ে খুব বেশি কার্যক্রমও চোখে পড়ে না। ফলে এ ধরনের কোম্পানিগুলোর প্রতারণা দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি আমি সিম্ফোনি ব্র্যান্ডের হেলিও এস টেন মডেলের একটি ফোন ১৮ হাজার ৫০০ টাকায় রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে ক্রয় করি। কিন্তু ফোনটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে জানানোর পর তারা সেটটি পরির্তন করে না দিয়ে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে পাঠায়। ২১ নভেম্বর তারা আমার ফোনসেটটি নেয় এবং ২৪ নভেম্বর আমাকে ফেরত দেওয়ার কথা বলে। একাধিকবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ঐ ফোনসেট এখনো আমাকে দেওয়া হয়নি। অন্যান্য ক্রেতাও এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখে পড়ছেন। কোম্পানিগুলো কী দামের বিপরীতে কী মানের ফোন ক্রেতাকে দেবে কিংবা বিক্রয়োত্তর সেবা কী—এ বিষয়ে তাদেরকে জবাবদিহিতায় আনা উচিত। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ উদ্যোগ নিতে পারে। তাতে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ হতে পারে।
অধ্যাপক মুহম্মদ মাহবুব আলী, বাড়ি ২৭, রোড ৪, ধানমন্ডি, ঢাকা।