ক.বি.ডেস্ক: আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (আইবিপিসি) এবং বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে বিসিএস’র সদস্যদের অংশগ্রহণে ‘‘এল/সি প্রসিডিউর অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ফর এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট অপারেশন’’ শীর্ষক দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ প্রদান করা হয়।
গতকাল শনিবার (২৮ মে)ধানমন্ডিস্থ বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে এই কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিসিএস সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া। কর্মশালায় প্রথম পর্বে প্রশিক্ষক ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফ্যাসিলিটেটর মো. হাবিবুর রহমান এবং দ্বিতীয় পর্বে প্রশিক্ষক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুবোধ দেবনাথ।
ইঞ্জি. সুব্রত সরকার বলেন, লেটার অব ক্রেডিট এর বিষয়ে বিসিএস এই প্রথম কর্মশালার আয়োজন করেছে। আমদানি নীতিতে কিছু কিছু প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে কাস্টমস বিভাগের সংশয় রয়েছে। বাজেট ঘোষণার পর আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং কাস্টমস এর সঙ্গে আলোচনা করবো। এবার আমরা আমাদের সদস্যদের মধ্য থেকেই আমাদের প্রশিক্ষক নির্বাচন করেছি। তিনি সবচেয়ে ভালো বুঝবেন আমাদের প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন। আমি আশা করছি এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর মাধ্যমে বিসিএস সদস্যরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
কামরুজ্জামান ভূইয়া বলেন, প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের জন্য লেটার অব ক্রেডিট বা এল/সি এবং সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের মধ্যে অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা এই কাজগুলো তৃতীয় পক্ষ দিয়ে করে থাকেন। কিন্তু নিজে যদি আমদানি এবং রপ্তানির ধাপগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে নিজেই আমদানি এবং রপ্তানিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
মো. হাবিবুর রহমান তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের আমদানি-রপ্তানির সংজ্ঞা, ট্রানজেকশন গেটওয়ে, আমদানি এবং রপ্তানি সংক্রান্ত আইন,লেটার অব ক্রেডিট এর সংজ্ঞা, পক্ষ, ব্যাংকিং নীতিমালা, প্রয়োজনীয় দলিলাদি, এলসির প্রকারভেদ এবং ইনকোটার্মস সম্পর্কে বিষদ আলোচনা করেন।
ড. সুবোধ দেবনাথ তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের সাপ্লাই চেইন এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে একটি সেশন পরিচালনা করেন।