ক.বি.ডেস্ক: বিশ্বখ্যাত প্রসেসর নির্মাতা মার্কিন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান ইন্টেল চলতি মাসে উন্মোচন করেছে ইন্টেল’র ১২তম প্রজন্মের প্রসেসর। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে ইন্টেল’র ১২তম প্রজন্মের প্রসেসরগুলো নিয়ে এলো ইন্টেল বাংলাদেশের টাইটানিয়াম পার্টনার বাইনারি লজিক। নতুন উন্মোচন হওয়া ইন্টেল’র ১২তম প্রজন্মের প্রসেসরগুলো হচ্ছে কোর আই৯-১২৯০০কে, কোর আই৯-১২৯০০কেএফ, কোর আই৭-১২৭০০কে, কোর আই৭-১২৭০০কেএফ, কোর আই৫-১২৬০০কে এবং কোর আই৫-১২৬০০কেএফ।
গতকাল শনিবার (৬ নভেম্বর) বিসিএস কমপিউটার সিটিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশের বাজারে উন্মোচন করা হয় ইন্টেল’র নতুন এই প্রসেসরগুলো। উন্মোচন্ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিএস কমপিউটার সিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহমেদ হাসান জুয়েল, সাবেক সভাপতি মুসা কামাল মিহির, বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) সহসভাপতি জাবেদুর রহমান শাহীন, বিসিএস মহাসচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ এল মজহার ইমাম চৌধুরি পিনু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, বাইনারি লজিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ চৌধুরি, ইনপেস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুল আহসান, গ্লোবাল ব্রান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের আইডিবি শাখা ব্যবস্থাপক মো. কামরুজ্জামন, ইন্টেল বাংলাদেশের প্রতিনিধি কৌশিক বোস, বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িবৃন্দ।
নতুন আর্কিটেকচার সংবলিত ইন্টেলের নতুন ১২তম প্রজন্মের প্রসেসরগুলো বেশ শক্তিশালী। এক্স৮৬ প্রযুক্তির এসব প্রসেসরে থাকছে শক্তিশালী এবং শক্তিসাশ্রয়ী কোর। প্রসেসরগুলোর কোডনেম রাখা হয়েছে অ্যালডার লেক। ইন্টেল প্রথমবারের মতো ডেস্কটপেও শক্তিশালী ও শক্তিসাশ্রয়ী দুই ধরনের কোর ব্যবহার শুরু করেছে। এর ফলে সাধারণ কাজের সময় অতিরিক্ত বিদ্যুত ব্যবহার ও তাপ দুটিই কমে যাবে। পারফরম্যান্স কোরগুলোর ডিজাইনে চরম পারদর্শিতা দেখিয়েছে ইন্টেল। আগের ১১তম প্রজন্মের প্রসেসরগুলোর তুলনায় ১৪ শতাংশ এবং দশম প্রজন্মের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি পারফরম্যান্স দিতে সক্ষম। এফিশিয়েন্সি কোরগুলোর কল্যাণে সাধারণ কাজের সময় সিপিইউগুলো আগের চেয়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম শক্তি ব্যয় করছে। ল্যাপটপের ব্যাটারিলাইফ আরও ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে।
১২তম প্রজন্মের মাধ্যমে ডেস্কটপ ও ল্যাপটপে নতুন দুটি প্রযুক্তির আবির্ভাব হয়েছে, পিসিআই-এক্সপ্রেস ৫ এবং ডিডিআর ৫। ডিডিআর ৫ প্রযুক্তির র্যাম ব্যবহারের পাশাপাশি ডিডিআর ৪ র্যাম ব্যবহারের সুযোগ থাকছে, কোন প্রযুক্তির র্যাম সিস্টেমে থাকবে তা নির্ভর করবে মাদারবোর্ড ডিজাইনের ওপর। ডিডিআর ৫ র্যাম একসময় ৮০০০ মেগাহাটর্জ গতি এবং ১ টেরাবাইট পর্যন্ত ধারণক্ষমতায় পৌঁছাবে ধারণা করা হচ্ছে। পিসিআই এক্সপ্রেস ৫-এর গতি ব্যবহার করার মতো জিপিইউ এবং এসএসডি কোনোটিই এখনো বাজারে নেই, অতএব যারা ১২ প্রজন্মের সিস্টেম আজ কিনবেন তাঁরা সুফল পাবেন বেশ পরে।
এই প্রথম ১২তম প্রজন্মেই হাইব্রিড কোর ব্যবহার করা হয়েছে। হাইব্রিড কোর মূলত কোর এবং টি কোরের সমন্বয়ে তৈরি। ইফিসিয়েন্ট বাই-কোর সর্বোচ্চ পারফরমেন্স করা সিপিইউর জন্য তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে পারফরম্যান্স কোর বা পি কোর মাপ করা যায় এমন মাল্টিথ্রেডের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।