ক.বি.ডেস্ক: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ ‘‘দোয়া এবং আলোচনা সভা’’র আয়োজন করেছে দেশের বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। গতকাল সোমবার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেসিস মিলনায়তনে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। সঞ্চালনা করেন বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসিসের পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু, মুশফিকুর রহমান, বেসিস উপদেষ্টা কমিটির সহ-সভাপতি শাহ ইমরাউল কায়ীশ, উত্তম কুমার পাল, বেসিসের নির্বাহী পরিচালক আবু ঈসা মো. মাঈনুদ্দিন, সচিব হাশিম আহম্মদ, বেসিস স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দসহ উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক বেসিস সদস্য। এ ছাড়া জুম ও ফেসবুক লাইভেও অনেকেই অংশ নেন।
আলোচনা সভায় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, শেখ মুজিব হচ্ছেন একমাত্র নেতা, যিনিই বাঙালির একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারে সেটি চিন্তা করতে পেরেছিলেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে এসে করতে পারা অকল্পনীয় ছিলো। বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর মাত্র তিন বছর ৭ মাসে তিনি যে কাজগুলো করে গিয়েছিলেন তা সমগ্র বিশ্বের অনুকরণীয়। ১৯৭৩ সালে আইটিইউ এর সদস্যপদ গ্রহণ এবং ৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ উদ্বোধনের মাধ্যমে তিনি প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের সূচনা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, অথচ বাংলাদেশ যাতে আবার একটি পাকিস্তান রাষ্ট্র হয় তার জন্য ১৫ আগস্টের ঘটনাটি ঘটানো হয়। বঙ্গবন্ধুর ঘর থেকে যাতে নেতৃত্ব না আসে সেজন্য প্রায় পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় শেখ হাসিনা দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশের হাল ধরেছেন। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন তা অকল্পনীয়। আমাদের উচিত তাকে সহায়তা ও সহযোগিতা করা। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছিলেন। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই ১৯৯৭ সালে বেসিস গঠিত হয়। বেসিস এখন এমন একটি সংগঠনে পরিণত হয়েছে, যা আমাদের জন্য গৌরবের।
রাসেল টি আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মত্যাগকে সম্মান, মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের সঙ্গে আমাদের স্মরণ করা উচিত। বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন, নীতি, আদর্শ, কর্ম ও নেতৃত্বের বহুমাত্রিক গুণাবলি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মসহ সকলের জানা উচিত। ব্যক্তিগত, প্রতিষ্ঠানিক এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে এসব গুনাবলি ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশের ১৬ কোটি মানুষের যদি এক শতাংশও সেগুলো ধারণ করতে পারে তাহলেই বাংলাদেশ বদলে যাবে।