ক.বি. ডেস্ক: জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবা অব্যাহত রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ই-ক্যাব সদস্যদের ডেলিভারে কাজে বাইসাইকেল, মোটরবাইক এবং কাভার্ডভ্যান চলাচলে লিখিত অনুমতি দেয়া হয়েছে। ডিএমপি হেড কোয়াটার্স থেকে পাঠানো এক পত্রে এই অনুমতির কথা ই-ক্যাবকে জানিয়ে দেয়া হয়।
এর আগে ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকেও যেসব প্রতিষ্ঠান জরুরি নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য সেবা ও ওষুধ ডেলিভার করছে তাদের চলাচলের জন্য অনুমতি নেয়া হয়। ডেলিভারি সেবাদানকারী কর্মীরা সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের বাঁধার সম্মুখীন হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে ডিএমপির কাছে লিখিত অনুমতি চায় ই-ক্যাব।
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমরা শুরু থেকে এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছি। নিজ নিজ বাসায় থাকা জনসাধারণ যেন ঘর থেকে বের হতে না হয় তাদের জন্য জরুরি সেবা চালু রাখতে ই-ক্যাব সদস্য কোম্পনিগুলো অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ডিএমপি কমিশনার আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। এছাড়া বিভাগীয় কমিশনারের অনুমতির পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমরা একটা অনুমতিপত্র পেয়েছি, যাতে সারা দেশে জরুরি সেবা চলমান রাখা যায়। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে যে পরিপত্র জারি হয়েছে তার ভিত্তিতে আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা অংশ তাদের সেবা অব্যাহত রেখেছিল। এখন ডিএমপি কমিশনারের এই অনুমতির মধ্য দিয়ে মাঠ পর্যায়ের সমস্যাও কেটে যাবে আশা করি।
ডিএমপির অনুমতি পত্রে ই-ক্যাবের সদস্যদের কথা উল্লেখ থাকায় ই-ক্যাব অফিস থেকে সদস্যদের একটি প্রত্যয়নপত্র ও স্টিকার দেয়া হচ্ছে। এই দুর্যোগে জনগণের পাশে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধ ডেলিভারি কাজে ই-ক্যাবের শতাধিক সদস্য কোম্পানি ও তাদের প্রায় ২ হাজার কর্মী প্রতিদিন ৪০ হাজারের মতো পরিবারের কাছে তাদের ক্রয়কৃত জরুরি পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। প্রচুর চাহিদা থাকলেও ডেলিভারি কর্মীর অভাবে তারা এই সেবার পরিসর বাড়াতে পারছেন না। ডিএমপির অনুমতির মাধ্যমে অন্তত একটি বাঁধা অপসারিত হয়েছে। এবার হয়তো এই সেবার পরিধি বৃদ্ধি করা যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।