ক.বি.ডেস্ক: দেশের প্রযুক্তিভিত্তিক লজিস্টিক নেটওয়ার্ক কোম্পানি ‘‘পেপারফ্লাই’’ এ বছর সপ্তম বর্ষে পা দিল। বিগত ছয় বছর ধরে এই প্রতিণ্ঠানটি দ্রুততম সময়ে ডোরস্টেপ ডেলিভারি নিশ্চয়তা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রযুক্তিনির্ভর ডোরস্টেপ ডেলিভারির ক্ষেত্রে পেপারফ্লাই নতুন যুগের সূচনা করে। যার প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন শুরু হয় এবং সেই থেকে ডোরস্টেপ ডেলিভারির চাহিদা ক্রমে বেড়েই চলছে। লাইফস্টাইল হোক কিংবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইটেম সবকিছুই ডেলিভারি দয়া হচ্ছে গ্রাহকের ডোরস্টেপ-এ।
মাত্র তিনজন মানুষ আর একটা বড় স্বপ্ন নিয়ে পেপারফ্লাই’র যাত্রা হয়েছিল ২০১৬ সালে। তাদের কঠোর পরিশ্রম, ইচ্ছাশক্তি আর সঠিক পথনির্দেশনার ফলেই পেপারফ্লাই আজ দেশের আধুনিক লজিস্টিক ও ডেলিভারি সেবাদাতাদের শীর্ষে অবস্থান করছে। একটা সময় ছিল যখন গ্রাহকদের কুরিয়ার পাঠানো, কুরিয়ার রিসিভ, এ্যাডভান্সড পেমেন্ট নিয়ে নানান ঝামেলায় পড়তে হতো। লজিস্টিক সেবার এই প্রধান সমস্যাগুলোকে দূর করতেই পেপারফ্লাইর পথচলা শুরু হয়। পেপারফ্লাই একটি আধুনিক ডেলিভারি সার্ভিসের জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম সেবা দেশব্যাপী ডোরস্টেপ পিকাপ, ক্যাশ অন ডেলিভারি, এক ঘন্টায় মার্চেন্ট পেমেন্ট ইত্যাদি সবকিছুই যুক্ত করেছে তাদের তালিকায়। গ্রাহকদের জীবনকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে পেপারফ্লাই ২৪-৪৮ ঘন্টার মাঝে দ্রুতগতির ডোরস্টেপ ডেলিভারি সেবা দিয়ে থাকে। যাত্রা থেকে পেপারফ্লাই এখন পর্যন্ত সফলভাবে ১ কোটির কাছাকাছি ডেলিভারি সম্পন্ন করেছে। আর এই ডেলিভারি সেবা শুধু বড় শহর আর গ্রামেই সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং এই সেবা পৌঁছে গেছে সন্দীপ, টেকনাফ, থানোরের মতো দূরবর্তী দূর্গম অঞ্চলে।
পেপারফ্লাই’র সিএমও রাহাত আহমেদ বলেন, পেপারফ্লাইর শুরুর দিন থেকেই আমরা উদ্ভাবনী প্রযুক্তিকে আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছিলাম, যা পুরো দেশের লজিস্টিক ব্যাবস্থাটাকেই কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। আমরা মাত্র পথ চলা শুরু করেছি। ছয়টি সফল বছর পার করেও এখনো আমরা একই নিষ্ঠার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি, কারণ আমাদের লক্ষ্য এর থেকেও ভালো কিছু অর্জন করা।
পেপারফ্লাই’র প্রধান কার্যালয়ে সপ্তম বর্ষে পদার্পনে আয়োজিত হয়েছে নানান আনন্দ অনুষ্ঠানের। গান, নাচ, স্ট্যান্ডাপ কমেডির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা উদযাপন করছেন দিনটি।