গত সোমবার (৫ অক্টোবর) পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের একটি বৈঠক পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সরকারি ক্রয়-নীতিমালায় দেশের সফটওয়্যার ও আইটি সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় কোম্পানিসমূহকে অগ্রাধিকার দেয়া, এ খাতে দরপত্র আহ্বানে নতুন সংশোধিত পিপিআর টেমপ্লেট অনুসরণ করার বেসিসের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন বেসিস প্রতিনিধিদল।
এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী এবং সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ ) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মাননান। সভায় বেসিসের পক্ষে সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ এবং বেসিস সচিব হাশিম আহম্মদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর সভায় বিগত কয়েক বছর ধরে বেসিসের পক্ষ থেকে সরকারী ক্রয় নীতিমালায় দেশের সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতের স্থানীয় কোম্পানীসমূহকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন টেমপ্লেট প্রণয়নের জন্য এবং এ খাতের জন্য দরপত্র আহবানের নতুন নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেন। সে মোতাবেক সফটওয়্যার ও আইটি পরিষেবা খাতের জন্য পিপিআর এর সংশোধিত টেমপ্লেটটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক সম্প্রতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মতামতসহ সিপিটিইউতে প্রেরণ করা হয়েছে। উক্ত টেম্পলেটটি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে কার্যকরী করার জন্য বেসিস সভাপতি পরিকল্পনা মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
একই সঙ্গে তিনি দাতা সংস্থার সহায়তায় পরিচালিত যে কোনো প্রকল্পের জন্য সফটওয়্যার এবং সফটওয়ারে পরিষেবা ক্রয়ের দরপত্রে যাতে স্থানীয় সফটওয়্যার কোম্পানিসমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অংশ নিতে পারে, সে ব্যাপারে দাতাসংস্থার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধমে দরপত্রের শর্তসমূহ শিথিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জোড় দাবী জানান। পাশাপাশি করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট ব্যবসায়িক মন্দা কাটিয়ে উঠতে সরকারের ই-গর্ভনেন্স প্রকল্পগুলোতে দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানীগুলোর নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বেসিসের উত্থাপিত প্রস্তাবসমূহ সিপিটিইউর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এবং আইএমইডির সচিবকে বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।