ক.বি.ডেস্ক: ডিজিটাল অর্থনীতি, তথ্যপ্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ ও পর্যটন খাতের বিকাশে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সরকার ভবিষ্যতে একসঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ইকোনমিক ফোরামের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ হামিদ আলবার এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিমর সঙ্গে আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে দেশীয় আইসিটি খাতের জন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ করে স্টার্টআপ, ই-কমার্স এবং ফ্রিল্যান্সিং খাতে বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ডিজিটাল অর্থনীতিতে প্রান্তিক পর্যায়ের জনগণের অর্ন্তভূক্তিমুলক অংশ নিশ্চিতে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব উদ্যোক্তাদের এআই, রোবোটিক্স, ন্যানোটেকনোলজি এবং সাইবার নিরাপত্তাসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ইকোনমিক ফোরাম ও মালয়েশিয়া সরকার অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসতে পারে।
ড. সৈয়দ হামিদ আলবার বলেন, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আইসিটি বিষয়ক দক্ষতার উন্নয়ন ও ডিজিটাল উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অর্জিত জ্ঞান বিনিময়ে ভ্রাতৃপ্রতীম দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। পর্যটন, শিক্ষা এবং সম্ভাবনাময় অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সুযোগ তৈরিতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল এটুআই কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এসময় প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। উপস্থিত ছিলেন এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, সোশ্যাল ইনোভেশন ক্লাস্টার প্রধান মানিক মাহমুদ, ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস অ্যাডভাইজর আশফাক জামান এবং এটুআই ও ডব্লিউআইইএফর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় পারস্পরিক সুবিধা, সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ে ভবিষ্যতে বিভিন্ন উদ্ভাবন প্রদর্শনীর আয়োজন, অর্জিত জ্ঞান বিনিময়ে বিভিন্ন কর্মশালা, ওয়েবিনার আয়োজনে ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ইকোনমিক ফোরাম ও এটুআই সম্মতি প্রকাশ করেছেন।