ক.বি.ডেস্ক: ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার ও প্রকাশ করায় ২ ক্যাটাগরিতে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৯ জন প্রতিবেদককে ‘‘বেষ্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’’ প্রদান করা হয়। গনমাধ্যম কর্মীদের তিনশত প্রতিবেদকের প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে এই পুরস্কার দেয়া হয়। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে গতকাল শনিবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর পর্যটন ভবনে অনুষ্ঠিত হয় ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক বেষ্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’’ প্রদান অনুষ্ঠান।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক বেষ্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ৯ জন প্রতিবেদককে প্রদান করেন প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার এবং ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
দেশের টেলিভিশন এবং রেডিও বিভাগে বেষ্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার শেখ রাকিবুল্লাহ হাসান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার কুমার বিশ্বজিত রায়, চ্যানেল-২৪ এর স্টাফ রিপোর্টার মুরসালিন হক জুনায়েদ এবং বাংলাভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শিহাব হোসাইন।
দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন বিভাগে বেষ্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দৈনিক দেশ রূপান্তরর প্রধান প্রতিবেদক উম্মুল ওয়ারা সুইটি, দৈনিক ইত্তেফাকর সিনিয়র রিপোর্টার সমীর কুমার দে মন্ডল, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) স্টাফ রিপোর্টার সৈয়দ এলতেফাত হোসাইন, ঢাকা পোস্টর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আবু সালেহ সায়াদাত এবং দৈনিক সমকালর বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ মেহেদী পুরস্কৃত হয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের দর্পণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় জনগণের মতামত যাতে আরও প্রতিফলিত হয়, সেকারণে ৫৬টি মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করে আগামি দু’তিন মাসের মধ্যে আইসিটি বিভাগ থেকে আধুনিক পোর্টাল চালু করা হবে। যেটির নাম হবে ‘জনতার সরকার পোর্টাল’। যেখানে আমরা যেকোনও সিদ্ধান্ত, নীতি-নির্ধারকদের যেকোনও বক্তব্য, যেটির প্রতিক্রিয়া সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা নিউজ মিডিয়াতে আসে, আমাদের ভবিষ্যত নীতি নির্ধারণে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়, সেজন্য আমরা এই পোর্টাল অল্প দিনের মধ্যে চালু করবো। এতে করে সাংবাদিকদের কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। সরকারের নীতি নির্ধারণে এটি সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, ধাপে ধাপে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি। এর সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে বুদ্ধিদীপ্ত, সৃজনশীল, উন্নত, উদ্ভাবনী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছি। আগামি সেপ্টেম্বর নাগাদ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রকাশ করার কথা জানান তিনি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা যেন বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারেন সেজন্য ডিজিটাল লিডারশিপ ট্রেনিংয়ে তাদের অন্তর্ভূক্ত করার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।